খাগড়াছড়ি জেলার দুইটি পৌরসভা নির্বাচনে একটিতে আওয়ামীলীগ ও একটিতে স্বতন্ত্রপ্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। উভয় পৌরসভার নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাটিরাঙ্গা পৌরসভার একটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতায়ের অভিযোগে একজনকে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
খাগড়াছড়ি পৌরসভায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী ও বর্তমান মেয়র রফিকুল আলম (মোবাইল)। প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৯ হাহার ৪১৪। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী শানে আলম (নৌকা)। প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৫ হাজার ৫৩৭।
মাটিরাঙ্গা পৌরসভায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী শামসুল হক (নৌকা)। প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৭ হাজার ৩৩৮। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী বাদশা মিয়া (ধানের শীষ)। প্রাপ্ত ভোট ৩ হাজার ৩৮৫।
মাটিরাঙ্গায় ভোট গ্রহণের সময় দুপুরে মাটিরাঙ্গা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতায়ের অভিযোগে মো. সেলিম নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমান আদালত তাকে এক বছরের কারাদন্ডাদেশ দেন।
খাগড়াছড়ি পৌরসভায় অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন, বিএনপির এ্যাড. আবদুল মালেক (ধানের শীষ)। প্রাপ্ত ভোট ৩ হাজার ১২৫। স্বতন্ত্রপ্রার্থী কিরন মারমা (নারিকেল গাছ)। প্রাপ্ত ভোট ২ হাজার ১৮ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ ইসাক (লাঙ্গল)। প্রাপ্ত ভোট ৯৫।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে বেসরকারিভাবে নির্বাচিতরা হলেন ১ নম্বর ওয়ার্ডে অতিশ চাকমা, ২ নম্বর ওয়ার্ডের মাসুদ রানা, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলম, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জাফর আহম্মদ, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল মজিদ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আনোয়ার হোসেন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মংরে মারমা, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পরিমল দেবনাথ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মাসুদুল হক।
সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সালেহা বেগম, ৪, ৫, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে শাহেদা আক্তার ও ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সুইনাচিং রাখাইন।
খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনের রিটানিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ) এ টি এম কাওসার হোসেন খাগড়াছড়ি পৌরসভার নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.