টানা বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বৃদ্ধিতে আকস্মিক বন্যায় রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে সাড়ে ৩শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ এবং তিন শতাধিক পরিবার পানি বন্দি রয়েছেন। এছাড়াও আড়াইশ হেক্টর জমির আমন ধানের চারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
জানা গেছে, টানা বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার আকস্মিক বন্যায় মাদ্রাসা পাড়া, এফ ব্লক, ৫নং ওয়ার্ড ও পশ্চিম লাইল্যাঘোণা এলাকা থেকে প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। পানি বন্দি রয়েছেন প্রায় তিন শতাধিক পরিবার। এছাড়াও বন্যায় উপজেলার পৌর এলাকায় আড়াশ হেক্টর আমান ধানের চারা এবং উলুছড়ি বটতলী ও লাইল্যাঘোনা এলাকায় আনুমানিক ৩০টি পুকুরে বন্যা পানি ঢুকে গেছে বলে জানা গেছে। এসব ক্ষতিগ্রস্থরা এখনো সরকারী কোন ত্রাণ সহায়তা পাননি এখনো। তবে বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মফিদুল আলম ও উপজেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মোঃ আলমী ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
বাঘাইছড়ি উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আলীম জানান, টানা বর্ষনের কারণে বাঘাইছড়ি উপজেলার মাদ্রাসা পাড়া, এফ ব্লক, ৫নং ওয়ার্ড ও পশ্চিম লাইল্যাঘোণা এলাকাসহ কয়েকটি এলাকায় প্লাবিত হয়ে প্রায় ৬শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ইতোমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে ৩০থেকে ৫০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ১৫ থেকে ৫০টি পুকুরে পানি ঢুকে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল ইমরান জানান, টানা বর্ষনে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় আড়াইশ হেক্টর জমির আমন ধানের চারা পানিতে ডুবে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মফিদুল আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হচ্ছে। ত্রাণ সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসকের জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মফিদুল আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হচ্ছে। ত্রাণ সহায়তার দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের জানানো হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.