জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুধবার রাঙামাটি জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগারের উদ্যোগে রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করা হয়েছে।
রাঙামাটি জেলা সরকারী গনগ্রন্থাগার কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। জেলা সরকারী গনগ্রন্থাগারের সহকারী লাইব্রেরীয়ান সুনীলময় চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের প্রাক্তন প্রকৌশলী নীহার বিন্দু চাকমা, সরকারী শিশু পরিবারের উপ-তত্বাবধায়ক রুপনা চাকমা ও বিশিষ্ট সমাজ উন্নয়ন কর্মী কিরণ বিকাশ চাকমা প্রমূখ। স্বাগত বক্তব্য দেন গন্থাগার সমিতির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইয়াছিন রানা সোহেল। অনুষ্ঠান শেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদপত্র তুলে দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনো সক্রিয় রয়েছে দেশকে একটি জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিনত করতে। তারা প্রতি নিয়তই দেশের বিভিন্ন জায়গায় অপহরণ, গাড়ীতে পেট্রোল বোমা, গুম হত্যাসহ নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে। তাদের প্রতি সবাইকে সবসময় সজাগ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। এজন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের ভূমিকাই বেশী। শিক্ষার্থীদের সঠিক ইতিহাসযুক্ত বই-পুস্তক ও মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে ইতিহাসের কথা শুনতে হবে। তিনি গন্থাগারে সঠিক ইতিহাসের বই-পুস্তক সংরক্ষণ ও পাঠকদের পড়তে উৎসাহী করারও পরামর্শ দেন। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশে বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশকে যেভাবে সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিল তোমরাই পারবে সে স্বপ্ন পূরণ করতে। নিজেদের প্রতিভাকে বিকশিত করে দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে তোমরাই পারবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.