টানা ১০ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেছেন রাঙামাটি সরকারী মহিলা কলেজে গনিত বিভাগের সদ্য অবসরে যাওয়া অধ্যাপক রনজিৎ শর্মা। ২ জুন রাতে ঢাকা থেকে রাঙামাটির উদ্দেশ্য ছেড়ে আসা ইউনিক বাস সার্ভিসে কুমিল্লার চান্দিনায় দুর্বত্তদের ছোড়া পেট্টোল বোমায় তিনিসহ ৭জন গুরুতর আহত হন।
৩ জুন তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে চিকৎসাধীন অবস্থায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢামেক এর চিকৎসকরা শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে লাইফ সাপোর্ট দেন। পরে শুক্রবার ভোররাত ৩ টা ১০ মিনিটে অধ্যাপক রনজিৎ শর্মাকে মৃত ঘোষনা করেন কর্তব্যরত চিকৎসক।
এই সময় হসাতালে তাঁর স্ত্রী পপি শর্মা, মেয়ে বিন্দা মেয়ের জামাইসহ অন্যান্য আত্নীয় স্বজন অবস্থান করছিলেন।
অধ্যাপক রনজিৎ শর্মার ভাতিজা রাজু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অধ্যাপক শর্মার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার তাঁর মরদেহ রাঙামাটি শহরের কালিন্দী পুরের বাসভবনে আনা হবে।
২০১৪ সালে রাঙামাটি সরকারী মহিলা কলেজ থেকে অবসরে যাওয়া ৬০ বছর বয়সী এই গুণী শিক্ষকের গ্রামর বাড়ী চট্টগ্রামের মিরেরশ্বরাই। এক পুত্র ও এক কণ্যা সন্তানের জনক অধ্যাপক রনজিৎ শর্মা ঢাকায় শিক্ষা অধিদপ্তরে তাঁর পেনশন সংক্রান্ত্র কাগজ পত্র জমা দিয়ে ২ জুন রাঙামাটি আসছিলেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.