অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও জাতি-ধর্ম-বর্ণ নিয়ে বৃহত্তর সংস্কৃতি গড়ে তুলতে এবং গণমানুষের অধিকার আদায়ে গণসংগীত পার্বত্য চট্টগ্রামে ছড়িয়ে দেয়ার মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার রাঙামাটিতে দুদিন ব্যাপী বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা গণসংগীত উৎসব সমাপ্ত হয়েছে।
ছিড়ে ফেল দৃঢ় হাতে চক্রান্তের জাল শ্লোগানকে সামনে রেখে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট মিলনায়তনে সোমবার দুদিন ব্যাপী উৎসবের উদ্ধোধন করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস। প্রধান অতিথি ছিলেন চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়। পার্বত্য তিন জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান এবং ঢাকা থেকে মোট ৭টি সাংস্কৃতিক দল গণসঙ্গীত উৎসবে যোগদান করে।
মঙ্গলবার সমাপনী দিনে বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য ফকির সিরাজ। এর পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক দলের গণসংগীত পরিবেশনা। শুরুতে সাংস্কৃতিক দলের মধ্য থেকে মঞ্চে উঠে উদীচি শিল্পী রাঙামাটি শাখা। এর পর বান্দরবানে সাংস্কৃতিক দল ওয়াহিদুল হক স্মৃতি গণসংগীত শিল্পী গোষ্ঠী। এর পর আসে ঐতিহ্যবাহী গিরিসুর শিল্পী গোষ্ঠী। শিল্পী বাচ্চু চাকমা ও বিজ্ঞান্তর তালুকদারের নেতৃত্বে পর পর ৫টি গণসংগীত পরিবেশিত হয়। এর মধ্যে চাকমা ভাষায় ৩টি এবং বাংলায় ২টি গান পরিবেশিত হয়। এর পর গণসংগীত পরিবেশন করে খেলাঘর রাঙামাটি শাখার শিল্পী গোষ্ঠী। এছাড়া এককভাবে গণসংগীত পরিবেশ করেন জনপ্রিয় শিল্পী ফকির সিরাজ, সমর বড়ুয়া ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী কালায়ন চাকমা।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.