রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার সাবেক্ষং ইউনিয়নের বড়পুল এলাকায় দুর্বৃত্তদের ব্রাশ ফায়ারে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের(ইউপিিেডএফ) এক নেতা নিহত হয়েছেন। তার নাম সুবাহু চাকমা(৫৫) ওরফে গিরি। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও নিহতের লাশ পায়নি। গতকাল বুধবার সকালে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় ইউপিডিএফের পক্ষ থেকে গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফকে দায়ী করেছে। তবে ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
স্থাণীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ইউনিয়নের ইউপিডিএফের নানিয়ারচর উপজেলা ইউনিটের সংগঠক সুবাহু চাকমা রাঙিপাড়ার সূর্য মণি মুর্তি নামক স্থানে যানে সাংগঠনিক কাজে যান। এতে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ৬ থেকে ৭ জনের এক দল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে ব্রাশ ফায়ার করে। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। পরে দুর্বত্তরা মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে স্থান ত্যাগ করে। নিহত সুবাহু চাকমা উপজেলা এগারাল্যা ছড়ার বিরাজ মোহন চাকমার ছেলে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলেও কোন লাশ উদ্ধার করতে পারেনি। এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।
এদিকে, ইউপিডিএফের জেলা সংঠক শান্তি দেব চাকমার এক বিবৃতিতে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে নব্য মূখোশ ও সংস্কারবাদীদের দায়ী করেছেন। বিবৃতিতে দাবী করে বলেন, জুম্ম দিয়ে জুম্ম ধ্বংসের নীলনক্সা বাস্তব রূপ দিতে শাসকগোষ্ঠী ইউপিডিএফের নেতৃত্বে চলমান গণআন্দোলন দমনের জন্যই সশস্ত্র ঠ্যাঙারে বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে একের পর এক ইউপিডিএফ নেতা-কর্মীকে হত্যা করছে। এতে খুন, গুম, অপহরণ করে জনগণের ন্যায্য আন্দোলন দমন করা যাবে না। ইউপিডিএফ পার্বত্য চট্টগামের জনগণের বেঁচে থাকার মৌলিক দাবি আদায়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে। জনগণকে সাথে নিয়ে ইউপিডিএফ সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে এগিয়ে যাবে। বিবৃতিতে অবিলম্বে সুবাহু চাকমার হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
তবে গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের উপজেলা পরিচালক জ্ঞান চাকমা এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে দাবী করেছেন, ইউপিডিএফের মধ্যে অন্তর্দ্বন্ধের কারণে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।
নানিয়ারচর থানার ওসি মোঃ সুজন হাওলাদার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কোন লাশের সন্ধান পায়নি। এলাকার লোকজনও নিহত বা আহত হয়েছে কিনা জানে না।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.