• Hillbd newsletter page
  • Hillbd rss page
  • Hillbd twitter page
  • Hillbd facebook page
সর্বশেষ
বিলাইছড়িতে দিনব্যাপী পুষ্টি মেলার আয়োজন                    বিলাইছড়িতে হিল ফ্লাওয়ার কর্তৃক নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে নানা কর্মসূচি                    রামগড়ে দুর্গম এলাকার জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করলো গ্রীন হিল                    রাঙ্গামটির সাজেক থেকে ফেরার পথে জীপ উল্টে আহদের খাগড়াছড়ি হাসপাতালে ভর্তি। একজনকে চট্টগ্রামে প্রেরন করা হয়েছে                    রাঙামাটিতে উচ্চ মূল্যের ফলনের উপর সক্ষমতা বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন                    খাগড়াছড়ি লক্ষীছড়ির দুর্গম গ্রামে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করলো গ্রীন হিল                    পৌর মাঠ সৌন্দর্য্য বর্ধনে কাজের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির প্রতিবাদে মানববন্ধন                    পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৭তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিলাইছড়িতে আলোচনা সভা                    যে দলই ক্ষমতায় আসুক চুক্তি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে-ঊষাতন তালুকদার                    বিলাইছড়িতে সেনাজোনের আয়োজনে সম্প্রীতি ভলিবল ম্যাচ                    ভূবনজয় সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের নারী কাবাডি দলকে সংবর্ধনা দিয়েছে জুরাছড়ি জোন                    পার্বত্য চুক্তির অধিকাংশ ধারাই বাস্তবায়ন নেই,বাড়ছে ক্ষোভ আর হাতাশা                    দুর্গম গ্রামে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করলো গ্রীন হিল                    আওয়ামীলীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবারই জনগণের রায়ে ক্ষমতায় যেতে পারেনি-জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল                    সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে মানববন্ধন আইনজীবিদের                    মানিকছড়িতে গ্রীনহিল আয়োজনে মোবাইল প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প                    বাঘাইছড়ি ও নানিয়ারচরে বন্যা কবলিত মানবিক সহায়তা প্রদান প্রকল্পের অবহিতকরন সভা                    নির্বাচনী পরিবেশ তৈরিতে রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীলতাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে-ধর্ম উপদেষ্টা                    রাঙামাটিতে বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিষ্ট্যান্স সচেতনামূলক সপ্তাহ পালন                    খাগড়াছড়িতে মোবাইল প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প                    খাগড়াছড়িতে গর্ভবতী নারী ও কিশোরীদের মোবাইল প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প                    
 
ads

মহান বিপ্লবী নেতা এমএন লারমার আজ ৩৯তম মৃত্যু বার্ষিকী

বিশেষ রিপোটার : হিলবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 10 Nov 2022   Thursday

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা, গণ পরিষদ ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের সদস্য মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার(এমএন লারমা) আজ বৃহস্পতিবার ৩৯তম মৃত্যু বার্ষিকী। এ উপলক্ষে রাঙামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি।  


পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জেলা শাখার উদ্যোগে এমএন লারমা মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে রাঙামাটিতে কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে  সকালের দিকে শহরের বনরুপা পেট্রোল পাম্প চত্বর থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্বর পর্ষন্ত নগ্ন পায়ে শোক র‌্যালী, শিল্পকলা একাডেমী চত্বরে স্থাপিত শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পন, শোক সভা, সন্ধ্যায় শহীদ বেদীতে প্রদীপ প্রজ্জলন ও ফানুস বাতি উড়ানো। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় এমএন লারমার মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হবে।


এমএন লারমার জীবন ও সংগ্রাম(১৯৩৯-১৯৮৩)
১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর জনসংহতি সমিতির বিভেদপন্থী গ্রুপের বিশ্বাসঘাতকতামূলক সশস্ত্র হামলায় তিনি আটজন সহযোদ্ধাসহ খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ির গভীর জঙ্গলের এক গোপন আস্তানায় নির্মমভাবে শাহদাৎ বরণ করেন।


১৯৩৯ সারে ১৫ সেপ্টেম্বর মাসে রাঙামাটি শহর থেকে ১২ দূরে অবস্থিত মহাপ্রুম নামক স্থানে(বর্তমানে কাপ্তাই বাধেঁর কারণে বিলুপ্ত) মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা চিত্ত কিশোর লারমা, মাতা শুভাষিনী দেওয়ান। এমএন লারমারা তিন ভাই ও এক বোন। সবার বড় বোন জ্যোতি প্রভা লারমা(মিনু) একজন সমাজকর্মী। বড় ভাই শুভেন্দু লারমা(বুলু) ছিলেন একজন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী, দক্ষ সংগঠক ও বিপ্লবী। তিনিও ৮৩’ সালের ১০ নভেম্বর সেই কালো রাত্রিতে এমএন লারমার সাথে  শহীদ হন। সব চেয়ে ছোট ভাই বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা(সন্তু লারমা)।


শহীদ এমএন লারমা ১৯৫৮ সালে রাঙামাটি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক, চট্টগ্রাম সরকারী কলেজ থেকে ১৯৬০ সালে আইএ পাস এবং একই কলেজ থেকে ১৯৬৫ সালে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি এলএলবি পাশ করার পর তিনি চট্টগ্রাম বার কাউন্সিলে যোগদান করেন। ওই বছরই ১৮ জুন তিনি পার্বত্য ছাত্র সমিতি নামে একটি সংগঠন গঠন করেন এবং সর্ব প্রথম পাহাড়ি ছাত্র সন্মেলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হন।


১৯৬০ সাল পাহাড়ী জনগোষ্ঠীদের জন্য এলো এক বিভাষিকাময় বছর। সে সময় তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে কাপ্তাই জল বিদ্যূৎ প্রকল্প বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলেন। পাকিস্তান সরকার ১৯৬৩ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারী রাষ্ট্রদ্রোহিতা অভিযোগ এনে তাঁেক গ্রেফতার করে এবং প্রায় দুবছর জেলে রাখার পর ১৯৬৫ সালে তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।


১৯৭০ সালে এমএন লারমা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন এবং একই বছর পাকিস্তান প্রদেশিক পরিষদে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭২ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি গঠিত হয় এবং তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। পরে তিনি সমিতির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে বিপুল ভোটে জয়ী হন। ১৯৭৪ সালে পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে তিনি লন্ডন সফর করেন। জুম্ম তথা পাহাড়ী জনগোষ্ঠীদের জনগনের আত্ননিয়ন্ত্রনাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথম থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন পরিচালনা করে আসছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তৎকালীন সময়ে সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে সরে গিয়ে আত্নগোপণ করেন এমএন লারমা এবং তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসী জনগণের আত্ননিয়ন্ত্রনাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সামরিক উইনিং ‘শান্তি বাহিনী, নামে সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করেন। ১৯৭৬ সালের দিকে পার্বত্য চট্টগ্রমে ‘শান্তি বাহিনীর, সামরিক তৎপরতা শুরু হয়। সামরিক তৎপরতা দ্রুত সম্প্রসারিত হয় যা ১৯৮০ সালের দিকে বেশী জোরালো হয়ে উঠে। এর পর ১৯৮২ সালে ২৪ জুন জনসংহতি সমিতির দ্বিতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। এ সন্মেলনের পর আদর্শ ও কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যের কারণে জনসংহতি সমিতি শেষ পর্ষন্ত দ্বিধাবিভক্ত হয় এবং ১৯৮৩ সালের ১৪ জুন সর্ব প্রথম লারমা গ্রুপ (লম্বা)ও প্রীতি গ্রুপ(বাদি) পরস্পর সশস্ত্র যুদ্ধে লিপ্ত হয়। ১৯৮৩ সালে ১০ নভেম্বর বিভেদপন্থী প্রীতি গ্রুপ হামলা চালিয়ে মহান এই সংগ্রামী নেতা এমএন লারমাকে তার আটজন সহযোগীসহ নির্মমভাবে হত্যা করে।


এমএন লারমার মৃত্যু হলে তাঁর কনিষ্ঠ ভ্রাতা বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমার (সন্তু) একনিষ্ঠ দক্ষতা, বলিষ্ঠ নেতৃত্বে জনসংহতি সমিতির আরো বেশী সক্রিয় হয়ে উঠে। তৃতীয় কংগ্রেস সন্মেলনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি(শান্তি বাহিনী) আবারও শক্তিশালী হয়ে উঠলে ১৯৮৬ ও ৮৯ সাল পর্ষন্ত নব উদ্দীপনায় সংগ্রাম চালালে বাংলাদেশ সরকার জনসংহতি সমিতির সাথে শান্তি বৈঠকে বসতে রাজি হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৭ সালের ২রা  ডিসেম্বর জনসংহতি সমিতির সাথে বাংলাদেশ সরকার এক ঐতিহাসিক ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি সম্পাদিত হয়।

জুম্ম(পাহাড়ী) জাতীয়তাবাদী চেতনার অগ্রদূত এই বিপ্লবী নেতা নতুন প্রজন্মের কাছে  চিন্তা-চেতনায় ও আদর্শবান ব্যক্তি হয়ে চির স্মরনীয় হয়ে  রয়েছেন।  
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

 

 

 

 

 

 

ads
ads
এই বিভাগের সর্বশেষ
আর্কাইভ