রাঙামাটির জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল জব্বার সুজনের বিরুদ্ধে আনা ২০টি এসি আত্নস্বাতের অভিযোগ প্রত্যাহার করেছেন জনৈক ব্যবসায়ী হান্নান মিয়া। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সুজনের বিরুদ্ধে যে বক্তব্যে দিয়েছেন তা সঠিক নয় এবং সুজন এ ঘটনায় জড়িত নয় বলে দাবী করেছেন। ২০ টি এসি আত্নস্বাতের খবর কয়েকটি গণমাধ্যম প্রকাশ পেলে সুজনকে ঘিরেই রাঙামাটিতে টক অব দি টাউনে পরিণত হয়।
ভুক্তভোগীসহ বিভিন সুত্র থেকে খবর নিয়ে জানা গেছে, জনৈক ব্যবসায়ী হান্নান মিয়া ঢাকার মিরপুরে সাকিরা ইলেট্রনিক্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মূলত এসির ব্যবসা করেন। সম্প্রতি বিক্রয় ডটকমের মাধ্যমে শাহীন নামের এক ব্যক্তি তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের জন্য মাওরুম ট্রেডার্সের মাধ্যমে ২০টি এসি সরবরাহ করতে বলেন। এরপর মহসিন ও শাহীনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এক লাখ টাকা অগ্রিম নিয়ে ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’তে প্রথম দফায় ৯টি ও দ্বিতীয় দফায় ১১টি এসি সরবরাহ করার কাজ নেন তিনি।
কথা ছিল মালামাল রাঙামাটি পৌঁছালে শাহীন তাকে বাকি টাকা পরিশোধ করবে। কিন্তু ১৭ এপ্রিল প্রথম দফায় মিডিয়া ব্র্যান্ডের ৯টি এসি রাঙামাটি পৌঁছালে উক্ত শাহীন ছাত্রলীগ সভাপতি সুজনের নাম করে এসিগুলো রিসিভ করেন এবং বাকি এসিগুলো পাওয়ার পর টাকা শোধ করবেন বলে এসি ব্যবসায়ী হান্নানকে বলেন ।
এতে পর দিনই হান্নান বাকি ১১টি এসি পাঠিয়ে দেন। কিন্তু রাঙামাটি পৌঁছানোর পর এসিগুলো রিসিভ করা হলেও টাকা বুঝে পাননি তিনি। এরপর উক্ত বিষয়টা নিয়ে থানায় অভিযোগ করলে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার মাধ্যমে বিষয়টার আসল রহস্য সামনে আসে এবং বিষয়টি চুড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি ঘটে।
এদিকে গেল ২৪ এপ্রিল রাঙামাটি কোতোয়ালি থানায় পুলিশের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধান করা হয়। এসময় হান্নান মিয়া ৫০ টাকার একটি স্ট্যাম্পে তার লিখিত বক্তব্য পেশ করলে আসল রহস্য পরিষ্কার হয়ে যায়। উক্ত বক্তব্য থেকেই আসল রহস্যের উদঘাটন হয়। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে জানান, তার বিক্রিত ২০টি এসি আত্বস্বাতের ঘটনায় রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো আব্দুল জব্বার সুজন ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মহসীনুর রহমান দায়ী নয় এবং কিছু ব্যাক্তির যোগসাজশে তার পূর্বে দেয়া বক্তব্যটিও মিথ্যা ছিলো। এবিষয়ে তিনি তাকে প্রতারিত করার অভিযোগে শুধু শাহীনের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানান। তার সাথে সাথে তিনি কিছু দুষ্কৃতীকারী ব্যাক্তির প্ররোচনায় সাংবাদিকদের দেয়া পূর্বের মিথ্যা বক্তব্যটিও প্রত্যাহার করে নেন বলে স্ট্যাম্পটিতে উল্লেখ করা হয়। রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই মো মাসুদের উপস্থিতিতে সমাধান হয়েছে বলে থানা কতৃপ নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে আব্দুল জব্বার সুজন বলেন,বিষয়টি সম্পুর্ন সাজানো মিথ্যা একটি নাটক।উক্ত ঘটনার সাথে আমার কোনরকম সম্পৃক্ততা না থাকা সত্বেও কিছু ব্যাক্তি নিজস্ব ব্যাক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য জৈনেক ব্যবসায়ী হান্নাকে ব্যবহার করে তার নামে এসব কুরুচিপূর্ণ সংবাদ সাজিয়েছেন বলে তিনি দাবী করেছেন।
তিনি আরো দাবী করে বলেন, তিনি যদি অপরাধী হতেন তাহলে তাকে নিয়ে সংবাদ করতে পারত কিন্তু তারা সেটা না করে তার প্রানের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নামটি ব্যবহার করে সংগঠনটির উপরে কলঙ্ক লেপন করার চেষ্টা করা হয়েছে। এটি অত্যান্ত দুঃখজনক ও স্পর্শকাতর বিষয়।
তিনি বলেন,তিনি দোষী প্রমানিত হওয়ার আগেই যারা তাকে নিয়ে এরূপ বিব্রতকর সংবাদগুলো করে আমার ও প্রিয় সংগঠন ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন তিনি অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত সাহায্য নেবেন। কারন এসব দুষ্কৃতীকারীরা শুধু তাকেই নয় এর আগেও একাধিকবার তার জননেতা দীপঙ্কর তালুকার এমপিসহ অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নিজস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এ জাতীয় সংবাদের আশ্রয় নিয়েছেন। সাংবাদিকতার মত মহান পেশাকে পুঁজি করে এরা সম্পুর্ন রাঙামাটিতেই নিজেদের কতৃত্ব প্রকাশের জন্য সমাজের বিভিন্ন সম্মানিত ব্যাক্তিদের এভাবে হয়রানী করে আসছেন বলে তিনি দাবী করেছেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.