বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) রাঙামাটি জেলা শাখার ষষ্ঠ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার জেলা কমিউনিস্ট পার্টির কার্যালয়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। এতে জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি সমীর কান্তি দে’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও প্রখ্যাত শ্রমিকনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃণাল চৌধুরী। প্রথম অধিবেশনের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক অনুপম বড়ুয়া শংকর, সহকারী সাধারণ সম্পাদক এম জিসান বখতেয়ার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আশীষ দাশগুপ্ত, জেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি মিল্টন বিশ্বাস, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত রনি। প্রথম অধিবেশনের সঞ্চালনা করেন জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য সৈকত রঞ্জন চৌধুরী। এসময় জেলা কমিউনিস্ট পার্টি, যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন ও উদীচীর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধান অতিথি প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃণাল চৌধুরী বলেন, ‘দ্বি-দলীয় বৃত্ত ভেঙে বিকল্প শক্তি গড়তে হবে। অবশ্যই সেই শক্তি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তি হবে। এর জন্য কমিউনিস্ট পার্টিকে লড়াই-সংগ্রাম জারি রাখতে হবে। দেশ স্বাধীনের এই ৫০ বছরে বারবার শাসক দলের পরিবর্তন হলেও তাদের শোষণের চরিত্র বদলায়নি। পৃথিবীতে দুইটি পক্ষ রয়েছে- একটি শাসক আরেকটি শোষিত। শোসকরা ক্ষমতায় এসে জনগণকে বারবার শোষণই করছে। তারা সাম্রাজ্যবাদী ও করপোরেট পুঁজিপতিদের তোষণ করে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে; নিজেদের গদি ঠিক রাখছে। যেখানে মেহনতী মানুষের স্বার্থরক্ষা হচ্ছে না।’ অন্যান্য বক্তারা বলেন, কমিউনিস্ট পার্টি মেহনতী মানুষের জন্য আজীবন কাজ করে যাচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত পৃথিবী থেকে বৈষম্য, শোষণ দূর হবে না; ততদিন পর্যন্ত পৃথিবীর দেশে-দেশে কমিউনিস্টরা লড়াই জারি রাখবেন। আমাদের শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত লড়াই জারি রাখতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে বিকালে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিল অধিবেশনে আবারও সমীর কান্তি দে’কে সভাপতি ও অনুপম বড়ুয়া শংকর’কে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়।