খাগড়াছড়ির মহালছড়ি - সিন্দুকছড়ি - জালিয়াপাড়া সড়ক ভ্রমন পিপাসুদের জন্য একটি নতুন আকর্ষনীয় স্থান। বিশেষ করে বিকেলের পরিবেশ টা এক কথায় অসাধারণ। একবার আসলে বারবার আসতে মন চাইবে, যেমন রাস্তা তেমনি চার পাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ, দখিনা বাতাসের খেলা।।
নির্দ্বিধায় বলতে পারি অল্প কিছুদিনের মধ্যে এই অঞ্চলের জনপ্রিয় নতুন পর্যটন স্পষ্ট হিসেবে আত্ম প্রকাশ করতে যাচ্ছে দীর্ঘ ১৮ বছর বন্ধ থাকা এই রাস্তাটি।।
দৃষ্টিতে সবচেয়ে সুন্দর পরিবেশ টা উপভোগ করতে চাইলে পর্যটকদের ধুমনিঘাট এলাকায় আসতে হবে, যেখানে রয়েছে ধুমনিঘাট ঝর্না। তবে এ ঝর্নাতে শুষ্ক মৌসুমে পানি থাকে না, ফলে পানি বিহীন জীবন অতিবাহিত করতে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয় এ এলাকার বাসিন্দাদের। অনেক সময় ধুমনি ঘাটের ভিতর এলাকার বাদল ঘাটের নিকটে ও তার আশে পাশে বন্য হাতির পাল দেখা যায় ।।
এই সড়কের পাশে গড়ে ওঠা ১ হাজার ৫ শ ফুট উচু স্থানে উদ্যোক্তা হ্লাসিমং চৌধুরীর ড্রাগন, আম সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলাদির কয়েক একরের বিশাল বাগান। এটি জেলার একটি দেখার মতো বাগান। বাগানে রয়েছে শতাধিক প্রজাতির ফল।
এতকিছু শোভা বর্ধক পিচ ডালা পথের বেশ উন্নয়ন হলেও, উন্নয়নে এলাকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠী ত্রিপুরা ও চাকমা জাতিগোষ্ঠী রয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট । এলাকার বিদ্যুৎতের প্রয়োজন রয়েছে।
এলাকার গ্রাম প্রধান কার্বারী কর্মচান ত্রিপুরা জানান যে,এই সড়কটি দীর্ঘদিন চলাচলে অনুপযোগী সড়ক হিসেবে পড়ে ছিলো। রাস্তার প্রশস্ত করণ সহ নতুন করে নির্মাণ করে দেয়ায় সরকারের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করেন।। তবে এলাকার পানি ও বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান করে দেয়ার ও দাবী জানান তিনি।
---হিলবিডি/সম্পদনা/সি আর