সোমবার বরকলে জলাতঙ্ক নির্মূলের লক্ষ্যে ব্যাপকহারে কুকুরকে টিকাদান (এমডিভি) কার্যক্রম`র অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কনফারেন্স কক্ষে বরকল উপজেলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরকল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শ্যাম রতন চাকমা।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার অনন্যা দাসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুচরিতা চাকমা ও বরকল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জসীম উদ্দিন। অারো বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা পলি রাণী ঘোষ, ঢাকা মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (এমডিপি) সুপারভাইজার মোঃ আসমির হোসেন। এসময় বরকল উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি বিহারী চাকমা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার এমডিপি সুপারভাইজার মোঃ মনিরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সরকার বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার পাশাপাশি জেলা, উপজেলা তথা তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়নমূলক এবং জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানাভাবে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। তারই অালোকে সরকার অারো নতুন করে জেলার পরে উপজেলা পর্যায়ে জলাতঙ্ক নির্মূলের লক্ষ্যে কুকুরের টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। এছাড়া উপজেলার জনপ্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পরিবারে পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদের কর্মকর্তা,স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বলা হয়, জলাতঙ্ক একটি ভয়ঙ্কর মরণব্যাধি। এ রোগে মৃত্যুর হার শতভাগ। এ রোগটি মূলত কুকুরের কামড় বা অাঁচড়ের মাধ্যমে ছড়ায়।এছাড়াও বিড়াল, শিয়াল, বেজী ও বানরের কামড়ে বা অাঁচড়ের মাধ্যমে এ রোগ হতে পারে।পৃথিবীতে কোথাও না কোথাও প্রতি ১০মিনিটে ১জন এবং প্রতিবছরে প্রায় ৫৬ হাজার ৬৪৮ জন মানুষ জলাতঙ্ক রোগে মারা যায় ( সূত্রঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রিপোর্ট ২০১৮)। এদের মধ্যে এশিয়া ও অাফ্রিকার মানুষ বেশি। জলাতঙ্ক বাংলাদেশে জনস্বাস্থোর জন্য অন্যতম হুমকি স্বরূপ।অার উচ্চমাত্রার জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি ও ক্ষতির দিক বিবেচনায় জলাতঙ্ক রোগে মৃত্যুহারের দিক থেকে পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়।
অারো বলা হয়, প্রতিবছর ৪ লক্ষ মানুষ কুকুর,বিড়াল,শিয়াল,বানর ইত্যাদি প্রাণীর কামড়ে অাক্রান্ত হয়,যাদের বেশিরভাগ ১৫ বছর বয়সের শিশু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১০ সালের অাগে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ২হাজার ৫শ মানুষ জলাতঙ্ক রোগে প্রাণ হারায় এবং গবাদিপশুর মৃত্যুর সঠিক পরিসংখ্যান অজানা হলেও একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গবাদিপশু মারা যায়।সেইজন্য ২০১৬ সালের মধ্যে জলাতঙ্ক রোগীর সংখ্যা শতকরা ৯০ ভাগ কমিয়ে আনা এবং ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে জলাতঙ্ক মুক্ত করার লক্ষ্যে ২০১০ সাল থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়,প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালশ এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত উদ্যোগে জাতীয় জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ এবং নির্মূল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.