রাঙামাটির ডিসি বাংলো পার্কে একটি রেষ্টুরেন্ট পরিচালনা নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে এনে মঙ্গলবার রাঙামাটির জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
রাঙামাটি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন নাজনীন আনোয়ার। এসময় পাইরেটস রেষ্টুরেন্ট এর অপর ব্যবসায়িক পার্টনার এডভোকেট ইমরান খান উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, আজ থেকে ৩ থেকে ৪ বৎসর পূর্বেও ডি.সি বাংলো পার্কটি মাদকসেবীদের অন্যতম অভায়ারণ্য হিসাবে পরিচিত ছিল। গত ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে থেকে পার্কটি লিষ্ট নিয়ে নিবিড় পরিচর্যা ও নিরিখ তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে সেখানে পাইরেটস নামীয় একটি দৃষ্টি নান্দনিক রেস্টুরেন্ট, কিডস জোন, সেলফি কর্ণার, ফুল ও ফলের বাগান, সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য গণ শৌচাগার, বিদ্যুত ব্যবস্থার উন্নয়ন, সোলার লাইট স্থাপন, সি.সি. ক্যামেরা দ্বারা নিরাপত্তা বেষ্টনী, পাহাড় ধ্বস নিরোধের জন্য প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার বস্তা বালির ব্যাগ দিয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া, পানির মোটর স্থাপন ইত্যাদি উন্নয়নপূর্বক প্রায় ২৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়। এতে রাঙামাটিবাসীর অতি প্রিয় ডিসি বাংলো পার্কটি যখন অপরাধমুক্ত নিরাপদ নান্দনীয় পার্ক হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ঠিক তখনি বর্তমান জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশীদ তার ক্ষমতার অপব্যবহারের দাপট খাটিয়ে পাইরেটস রেস্টুরেন্টটির কর্তৃপক্ষের দিকে আঙ্গুল তাক করে মাদকের আত্মস্বীকৃত আড্ডাখানা নামে আখ্যায়িত করেন। এতে গত ২৯ নভেম্বও ২০২০ সালের সন্ধ্যায় শেষ কুঠারাঘাত করেন। ওই দিন ডিসি বাংলোর ৪র্থ শ্রেণীর স্টাফ জাহাঙ্গীর, বর্তমান জেলা প্রশাসক দ্বারা নব মনোনীত মসজিদের ইমাম, চায়ের দোকানী টিপুসহ মোট ৫ থেকে ৬ জনকে দিয়ে মদ দিয়ে রেস্টুরেন্টের কর্মচারিদের দিয়ে একের পর হয়রানীমূলক মামলা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা করেন ডিসি। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের হয়রানী থেকে রক্ষায় উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায় বিচার দাবি জানানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদেও সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নাজনীন আনোয়ারের সাথে তার ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ নেই। তাকে তিনি চিনে ন্ওা। তার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত চারটি মামলা দায়ের করেছেন। জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও করিনি। তিনি আরো জানান, তারা ডিসি পার্কটি লিজ নিয়েছিলেন দুই বছরের জন্য। সেই মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে আরো এক বছর আগে। তিনি জেলা প্রশাসক হিসেবে কাজ করছেন সরকার কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে। সরকারী সম্পদের সুরক্ষা করা আমার নৈতিক দায়িত্ব। এখানকার কারো সাথে তার ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। অযথা আমাকে জড়িয়ে সম্পূর্ন বিপরীত তথ্য দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.