পার্বত্য চুক্তিতে সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ও বৈষম্যমূলক ধারাগুলো সংশোধন করে চুক্তির পূর্ণমূল্যায়ন করার দাবী জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৩ বছর পূর্তি উপলক্ষের মঙ্গলবার রাঙামাটিতে সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ নেতৃবৃন্দ এ দাবী জানান।
রাঙামাটির ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট মিলনায়তন সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মোঃ আলমগীর কবির। সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের রাঙামাটি শাখার সভাপতি সাব্বির আহমেদ।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নাদিরুজ্জামান, সহ-সভাপতি কাজী মোঃ জালোয়া, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিকী প্রমুখ।
সংবাদ সন্মেলনে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পর কেটে গেছে ২৩টি বছর। একের পর এক চুক্তির বিভিন্ন শর্ত বাস্তবায়িত হচ্ছে পাহাড়ে। সরকারের দাবি চুক্তির অধিকাংশ ধারাই এরই মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। অবশিষ্ট কিছু ধারা বাস্তবায়নাধীন। চুক্তির পর পার্বত্য অঞ্চলে একে একে কয়েকটি সশস্ত্র সংগঠন জেএসএস (সন্তু), জেএসএস (এমএন লারমা), ইউপিডিএফ (প্রসিত) ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) পার্বত্য অঞ্চলে দাঁবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। তাদের কাছে পাহাড়ি বাঙালিরা জিম্মি। পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টির মূলে রয়েছে চারটি সশস্ত্র গ্রুপ। এ চারটি গ্রুপের মধ্যে যতদিন সশস্ত্র সংঘর্ষের অবসান না হবে ততদিন পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসবে না। তাই তাদের নির্মূল করা জরুরী বলে তারা দাবী জানান।
সংবাদ সন্মেলনে তাই প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের কাছে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির সাংঘর্ষিক ও বৈষম্যমূলক ধারাগুলো সংশোধন করে চুক্তির পুর্ণঃ মূল্যায়ন করার দাবীসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি স্থাপনে ব্যর্থ আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমার অপসারণ, পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও স্থানীয় শান্তি প্রতিষ্ঠায় জন্য প্রত্যাহারকৃত নিরাপত্তাবাহিনীর ক্যাম্প পূণঃস্থাপনের জোর দাবী জানানো হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.