বান্দরবানের লামা উপজেলা ফাইতং ইউনিয়নে একের পর এক ভূমি দস্যুতা বেড়েই চলছে। স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট সাধারণ মানুষের ভূমি জবর দখল করার জন্য একের পর এক হামলা ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ইউনিয়ন আওমীলীগের সহ সভাপতি শহিদুল হক মিন্টু (৩৫) কর্তৃক উক্ত ইউনিয়নের এক স্কুল শিক্ষক মোহাম্মদ সালা উদ্দিন (৪৬) এর মালিকানাধীন ও ভোগদখলীয় জায়গা জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার থানলাই পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সালা উদ্দিন লামা থানায় লিখিত অভিযোগের জানান, ফাইতং ইউনিয়নের ৩০৬নং ফাইতং মৌজায় ক্রয়সূত্রে জি/২০৩, ২০৯ ও ২২০ নং হোল্ডিং এর মোট ১৫.০ একর এবং একই মৌজার হোল্ডিং নং ২২২ ও ২২৩ নং হোল্ডিং এর ১০.০ একর সহ সর্বমোট ২৫.০ একর জায়গা ক্রয়সূত্রে মালিক হন।
তিনি অভিযোগে জানান বহুঅর্থ ব্যয়ে ফলজ ও বনজ বাগান সৃজন করেছেন। এই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডর ইউপি সদস্য শহিদুল হক মিন্টুর নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে এই জায়গা জবর দখল করে নেওয়ার জন্য হামলার ভয়ভীতি প্রদশন করে যাচ্ছে। স্কুল শিক্ষক আরো জানান ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওমীলীগের সহ সভাপতি শহিদুল হক মিন্টুর নেতৃত্বে সম্প্রতি ৭ থেকে ৮ জন সন্ত্রসী নিয়ে এসে তার বাগানের মধ্যে জোর পূর্বক একটি ঘর তৈরি করেছে।
স্কুল শিক্ষকের বাগানের শ্রমিক লোকমান হাকিম, জয়নাল আবেদীন, এনামুল হক, আব্বাস উদ্দিন, আবুল হাশেম, আব্দুল মালেক, রিয়াজ উদ্দিন ও নুরুল আলম জানান বাগানের রোপিত গাছের চারা পরিচর্যা না করার জন্য ইউপি সদস্য শহিদুল হক মিন্টু ও তার লোক জন বাধা দিচ্ছে। তাদের অবৈধ বাধার প্রতিবাদ করলে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছে। জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ও জায়গার উন্নয়ন দেখে এই জায়গা জবর দখলে চেষ্টা করছে বলে শ্রমিকগণ সরজমিন পরির্দশনে জানান।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য শহিদুল হক মিন্টু জানান, তাহার নিকট ৫.০০ একরের একটি কাগজ আছে। সেই কাগজ মূলে তিনি জায়গা দখলে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
বিষয়টি নিয়ে লামা থানা অফিসার ইনর্চাজ মিজানুর রহমান জানান ভূমি সংক্রন্ত বিরোধ আদালতের মাধ্যেমে সমাধান করার জন্য পরামর্শ দেন। আইন-শৃঙ্খলা বিষয়টি পুলিশ নজর দারিতে রেখেছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.