জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় শ্লোগান ‘জয় বাংলা’ কে বিকৃতি করে হুমকি প্রদানের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। একটি সামাজিক সংগঠনের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে নিজেদের মধ্যে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় শ্লোগানকে বিকৃতি করে হুমকি প্রদান করে মোঃ মুছা নামে এক যুবক। এই ঘটনায় রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একই সাথে এই যুবকের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধাদানেরও অভিযোগ করা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকার হিলফুল ফুজুল তরুন সংঘের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে নিজেদের মধ্যে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে মোঃ মুছা (তার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি আ. জ. ম মুছা) হুমকি দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় শ্লোগানকে বিকৃতিভাবে ব্যবহার করে। সে লিখেছে ‘‘বাংলাদেশ-জিন্দাবাদ’’ একইসাথে ঠিক এই লাইনের নিচেই লিখেছে ‘জয় বাংলা, শেখ মজিব’। বঙ্গবন্ধুর নামটিও যেমন শুদ্ধ করে লেখেনি তেমনি জয় বাংলার পরে জয় বঙ্গবন্ধু না লিখে উভয় শ্লোগানকে বিকৃতি করেছেন।
অভিযোগে আরো জানা যায়, রিজার্ভ বাজারের মহসিন কলোনী এলাকার মোঃ শফির ছেলে মোঃ মুছা (২৭) দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নানা অনৈতিক ও অসামাজিক কার্য কলাপের সাথে লিপ্ত রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মহসিন কলোনী এলাকায় সরকারি উন্নয়ন কাজে বাধা দানেরও অভিযোগ রয়েছে। সে রিজার্ভ বাজার এলাকায় ইয়াবা ব্যবসার সাথেও জড়িত বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগকারী একই এলাকার বাসিন্দা মুহাম্মদ মাসুদ রানা রুবেল জানান, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু তার আবেদনের প্রেক্ষিতে রাতে লোকজনের চলাচলের সুবিধার্থে এলাকায় একটি সোলার প্রদান করেন। এর আগে আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে মসজিদের জন্যও একটি সোলার দিয়েছিলেন। এলাকায় সোলার বসাতে শ্রমিকরা কাজ শুরু করলে মুছা তার দলবল নিয়ে এটি বসাতে বাধা প্রদান করে। তার বাধার কারণে এটি বসানো সম্ভব হয়নি। এই ঘটনার বেশ কিছুদিন পর এলাকার সংগঠনের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে আমাকে উদ্দেশ্য করে হুমকিও প্রদান করে। এই হুমকি দিতে গিয়ে সে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় শ্লোগানকেও বিকৃতি করেছে। রুবেল আরো জানান, মুছা একসময় বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। বর্তমানে সে আওয়ামীলীগে যোগদানের চেষ্টা করছে বলে জানতে পেরেছি।
এদিকে এ অভিযোগ বিষয়ে মোঃ মুছার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় শ্লোগান বিকৃতি করে হুমকি প্রদানের বিষয়ে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর জানান, এই ধরনের অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরাধী ব্যক্তি যদি দলীয় লোক হয় তবে তার বিরুদ্ধে প্রথমত সাংগঠনিক ব্যবস্থা ও পরে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর সংগঠনের বাইরের লোক হলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাঙামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কবির হোসেন জানান, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.