রোববার রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের দূর্গম এলাকায় হাম আক্রান্ত শিশুদের পরিবারের নগদ অর্থ ও ভ্রাম্যমান চিকিৎসা সেবাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
সাজেক-মাচলং সড়কের সাত মাইল এলাকা থেকে স্টার্ট ফান্ড-এর অর্থায়নে স্থানীয় এনজিও ‘আশিকা’র উদ্যোগে প্রান্তজনের এই সহায়তা কার্যক্রম ওই এলাকায় দরিদ্র জনগোষ্ঠির মাঝে আশার সঞ্চার করেছে। দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা সহায়তা ও নগদ অর্থ বিতরন অনুষ্ঠানে সাজেক ইউপি চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা নয়ন, আশিকা’র প্রকল্প সমন্বয়কারী বিমল কান্তি চাকমা, ফোকাল পারসন রবিন চন্দ্র চাকমা, সমকাল প্রতিনিধি প্রদীপ চৌধুরী, একাত্তর টিভি প্রতিনিধি রুপায়ন তালুকদার, ভ্রাম্যমান চিকিৎসা দলের স্থানীয় সমন্বয়ক অমর শান্তি চাকমাসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার তৃণমূল প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে করোনা মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন এলাকা সচেতনতা মূলক লিপলেট রিতরন ও সামাজিক দুরত্ত বজায় রাখারর জন্য বিভিন্ন ওধধের দোকান ও মুদির দোকানে সাদা রং দিয়ে গোল চিহ্ন দিয়ে দেন আশিকা প্রতিধিনিরা।
আশিকা’র প্রকল্প সমন্বয়ক বিমল কান্তি চাকমা জানান, সাজেকে হামে আক্রান্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা ও চিকিৎসা সেবা দিতে ৪৫দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এতে হাম আক্রান্ত ২শত পরিবারকে নগদ এক হাজার টাকা করে প্রদান ও আক্রান্তদের চিকিৎসবা দেওয়া হবে।
সাজেক ইউপি চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা নয়ন জানান, গেল ফেব্রুয়ারী মাসের মাঝামাঝি দেশের সবচেয়ে বড়ো ইউনিয়ন (ফেনী জেলার চেয়ে বড়ো) সাজেকের বেটলিং, লুঙতিয়ান পাড়া, অরুণ পাড়া, কাইচ্ছা পাড়াসহ সাজেকের দূর্গম এলাকায় অপুষ্টিজনিত রোগে ৯ শিশুর মৃত্যু হয় এবং আক্রান্ত হয় দুই’শ শিশু। এসব শিশুদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সমন্বয়ে শিয়ালদহ পাড়া বিওপির হেলিপ্যাড হতে বিশেষ হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ওই শিশুদের চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয় এবং শিশুরা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে তাদের বাবা-মায়ের কোলে ফিরে যায়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.