রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা পেপার মিলসে (কেপিএমে) মঙ্গলবার বেতন ভাতা ও অসুস্থ শ্রমিক কর্মচারীদের বদলীর আদেশ স্থগিতের দাবীতে এমডি অফিস ঘেরাও করেছে শ্রমিক কর্মচারী পরিষদ(সিবিএ)।
জানা যায়,কেপিএমের সময় দপ্তরের কর্মচারী মাওলানা আবুল কালাম গেল সোমবার রাতে অস্স্থু জনিত কারনে ঢাকায় মৃত্যু বরন করেন। ভোরে চন্দ্রঘোনায় লাশ আনা হয়। মৃত ব্যক্তির লাশ গ্রামের বাড়ী নেওয়া সহ আনুসাংঙ্গিক কাজে ব্যয় করার জন্য মিলের এমডির নিকট অগ্রিম অর্থ চাওয়া হয়। অর্থ দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষনিক নব নির্বাচিত শ্রমিক কর্মচারী পরিষদ সিবিএের নেতৃত্বে মৃতের লাশ নিয়ে মিছিল সহকারে এমডি অফিস ঘেরাও করা হয়। এ সময় শ্রমিক কর্মচারীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কাপ্তাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। শ্রমিক নেতৃবৃন্দ শান্তিপুর্নভাবে তাদের দাবী আদায় করতে এ আন্দোলন করছে বলে তারা জানায়। পরবর্তীতে মিল কর্তৃপক্ষ, সিবিএ নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে এমডি কার্য্যালয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মাকছুদুর রহমান মোক্তার জানান, বৈঠকে তাদের দেওয়া কয়েকটি দাবী কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছে। দাবীগুলো হল, বদলীকৃত শ্রমিক কর্মচারীদের দুই মাসের বেতন, মৃতদের ৫০ হাজার টাকা আগাম প্রদান, অসুস্থ ও ৩/৪ মাস অবসরের বাকী আছে এমন শ্রমিক কর্মচারীদের বদলী আদেশ স্থগিত, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ ব্যাপারে এমডি খান আনোয়ার জাভেদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবী মেনে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন, জিএম (প্রশাসন) মোঃ আনোয়ার হোসেন, ওসি রঞ্জন কুমান সামন্ত, সিবিএ সভাপতি আবুল রাজ্জাক সহ অন্যান্য শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, কেপিএমে শ্রমিক কর্মচারীদের ২ মাসের বেতন ও ৬ মাসের অধিকাল ভাতা সহ আনুসাঙ্গিক বকেয়া পাওনা রয়েছে। এছাড়া, গত জানুয়ারী থেকে মার্চ, ২০১৬ মাসে মিল থেকে ৩৩০ জন এবং গত ৩০ জানুয়ারী হতে ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭ তারিখে মিল থেকে আরো ২৩০ জন শ্রমিক কর্মচারী ও কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলীর আদেশ জারী করা হয়। এর মধ্যে অনেক শ্রমিক কর্মচারী অসুস্থ এবং অনেকের চাকরির মেয়াদ অল্প কিছু দিন বাকী আছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.