খাগড়াছড়ি জেলাশহরে বিএনপি’র পূর্ব-নির্ধারিত ইফতার মাহফিলে বাধা দানের অভিযোগ করেছেন, জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়া।
রোববার বিকেলে ইফতার মাহফিল শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, নিয়ম অনুযায়ী লিখিতভাবে খাগড়াছড়ি টাউন হল এবং হলের সামনের প্রাঙ্গন ব্যবহারের অনুমতি পাবার পরও পুলিশ আকস্মিক দুপুর ২টার দিকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অজুহাত দেখিয়ে স্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য করে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শনিবার রাতভর কষ্ট করে নেতাকর্মীরা মঞ্চ থেকে শুরু করে সাজসজ্জা শেষ করেন। অথচ পুলিশ একটি ঠুনকো যুক্তিতে ইফতার মাহফিলের মাত্র চার ঘন্টা আগে আমাদের সবকিছু পন্ড করে দিয়েছে। এটি রাজনৈতিক-গণতান্ত্রিক শিষ্ঠাচার বর্হিভূত এবং চরম ঘৃনিত অপরাধ।
সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূইয়া এজন্য সরকারি দলের খাগড়াছড়ি জেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দকেও অভিযুক্ত করেন। তবে সব বাধা অতিক্রম করেও শেষতক বিপুল নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে জেলা শহরের বিএনপি অধ্যুষিত কলাবাগান এলাকার মূল সড়কে শান্তিপূর্নভাবে ইফতার মাহফিল শেষ হয়।
ইফতার মাহফিলে ওয়াদুদ ভূইয়া ছাড়াও জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আবু ইউসুফ চৌধুরী ও কংচাইরী মাস্টার, সা: সম্পাদক এম. এন. আফসার, যুগ্ম-সম্পাদক সাবেক রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া ফরহাদ, এড. আব্দুল মালেক মিন্টু ও অনিমেষ চাকমা রিংকু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব রাজা, জেলা যুবদলের সা: সম্পাদক ইব্রাহিম খলিলসহ জাতীয়তাবাদী ঘরানার বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ইফতার মাহফিলে বাধা দানের বিষয়ে সদর থানার ওসি সাহাদাত হোসেন টিটো টেলিফোনে জানান, বিএনপি’র ইফতার মাহফিলের মঞ্চ থেরি করার নামে তাঁরা জাতির জনকসহ জাতীয় চার নেতার আবক্ষ মূর্তিকে ঢেকে দেয়ায় আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করা হয়। তখন তাঁদেরকে (বিএনপি) টাউন হলের ভেতরে ইফতার মাহফিল করার অনুরোধ করা হলেও তাঁরা কলাবাগান মূল সড়কেই ইফতার মাহফিল সম্পন্ন করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.