রাঙামাটি জুরাছড়ি উপজেলায় হেডকোয়াটার চালকাপাড়া ভায়া লুলাংছড়ির ৬৫০মিটার রাস্তার নির্মাণ কাজ সাড়ে ৩ বছরেও শেষ হয়নি। রাস্তার মূখে মিনি ব্রিজের দু’পাশের মাটি ভরাট নিয়ে অসমাপ্ত পড়ে রয়েছে। এলজিইডির গাফিলিটির কারণে কাজের বিলম্ব হচ্ছে বলে অভিযোগ উপজেলা প্রসাশন ও জনপ্রতিনিধিদের।
জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী আরআইডিপিসিএইচটি-২ প্রকল্পের আওয়াতায় ২০১৬ সালে ১ কোটি ২৩ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা ব্যয়ে জুরাছড়ি হেডকোয়াটার থেকে চালকা পাড়া ভায়া লুলাংছড়ি রাস্তার ৬৫০ মিটার কাজ মেসাস দেওয়ান এন্টার প্রাইজকে ঠিকাদারী চুক্তি মোতাবেক প্রদান করা হয়। বিগত ২০১৬ সালে কাজ শুরু করা হলেও কর্তৃপক্ষের অনুমতির সাপেক্ষে বর্ধিত সময় বিগত ২০১৮ জানুয়ারী ৩ তারিখে কাজের সমাপ্ত করার কথা রয়েছে। অথচ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজের ৫০ ভাগ অসম্পন্য অবস্থায় বন্ধ রেখেছে বলে এলজিইডির দাবী। তবে কেন বন্ধ রেখেছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তার কোন সঠিক তথ্য কিংবা লিখিত নেই উপজেলা এলজিইডির কাছে।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও কমিটির অন্যতম সদস্য রিটন চাকমা সভায় জানান, জুরাছড়ি হেডকোয়াটার হতে চালকা পাড়া ভায়া লুলাংছড়ি রাস্তায় চেঃ ৬৫০ মিটার রাস্তার কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান অবহেলার কারণে দুর্ভোগে পরেছে এলাকাবাসী। এছাড়া বর্ষার মৌসুমের পানি আসার আগে মিনি ব্রিজের মাটি ভরট করা না গেলে উপজেলা সাথে দুমদুম্যা, মৈদং ও জুরাছড়ির এক অংশ সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পরবে। সুতরাং এলজিইডির এটি জনগুরুত্বতা বিবেচনা করে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
মেসাস দেওয়ান এন্টার প্রাইজের প্রোবাইডার সুমতি দেওয়ান মুঠো ফোনে জানান, প্রাক্কলনে মাটি ভরাটের উল্লেখ নেই। মাটি ভরাট করতে গেলে ৩-৪ লক্ষ টাকা ব্যয় হতে পারে। এছাড়া প্রাক্কলন বিহীন ভাবে অতিরিক্ত কালভাট ভাঙ্গনসহ বিভিন্ন কাজ ৩ লক্ষ টাকার অধীক করানো হয়েছে। এখন আর আমার পক্ষে প্রাক্কলন বিহীন কাজ করা সম্ভব নয়। যদি করানো হয় অতিরিক্ত বিল প্রদান করতে হবে।
বালুখালী গ্রামের কার্ব্বারী সুরেশ কুমার চাকমা, কুসুমছড়ি মৌজার হেডম্যান মায়া নন্দ দেওয়ান জানান, রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে ২০১৬ সালে। সাড়ে তিন বছর পেরিয়েও শেষ হয়নি কাজ। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠিান ও এলজিইডির কর্মকর্তারা জানাচ্ছে কাজ দ্রুত শেষ হবে। অসলে কাজ শেষ হবে কবে !
জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা জানান, কাজটি সমাপ্ত না হওয়াই এলাকায় উৎপাদিত কৃষিপন্য বাজার জাত করতে হিমচিম খেতে হচ্ছে চাষীদের।
উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ মতিউর রহমান জানান, ইতিমধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকেকাজের গুনগত মান বজায় রেখে কাজ আরম্ভ করার জন্য চিঠি পাটানো হয়েছে। অথচ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চিঠির কোন গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ গোলাম রসুল জানেন। কাজের নিযুক্ত এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ গোলাম রসুল জানান, মেসাসদেওয়ান এন্টার প্রাইজের প্রোবাইডার সুমতি দেওয়ানকে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কাজ করবেনা বলে জানিয়েছেন। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানতে অতিরিক্ত কাজ করানো এবং মাটি ভরাটের বিষয়ে জানাতে ২/৩ দিন সময় চেয়ে নেন তিনি।
রাঙামাটি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইব্রাহিম কলিলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজ শুরু করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান জানান জুরাছড়ি হেডকোয়াটার থেকে চালকা পাড়া ভায়া লুলাংছড়ি রাস্তার কাজ সঠিক সময়ে শেষ না হওয়া এবং কাজের ধারা বাহিকতা বন্ধ রাখা খুবই দুঃখজনক। মাটি ভরাটের মাধমে দ্রুত রাস্তার সংযোগের পূর্নতা করতে এলজিইডিকে বলা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.