আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি আসনে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীদের মাঝে সোমবার প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ি রির্টানিং কর্মকর্তা ও খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হল রুমে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেন।
আওয়ামীলীগের প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার পক্ষে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ নেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা। এ সময় জেলা আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি প্রার্থী শহীদুল ইসলাম দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ নেন। জাতীয় পাটির প্রার্থী সোলেমান আলম শেঠ তার দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে নাঙ্গল প্রতীক বরাদ্দ নেন। এছাড়া ইসলামী আন্দোলেন বাংলাদেশ এর প্রার্থী আব্দুল জব্বার ও তার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে হাত পাখা প্রতীক বরাদ্ধ নেন। ইউপিডিএফ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী নতুন কুমার চাকমা খাগড়াছড়ির একজন আইন জীবী মাধ্যমে নির্বাচনী প্রতীক সিংহ মার্কা গ্রহন করেন।
এর আগে প্রার্থী ও সমর্থকদের নির্বাচনী আচরন বিধি সর্ম্পকে বিস্তারিত জানান জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম।
খাগড়াছড়ি সংসদীয় আসনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয় পত্র সংগ্রহ করলেও আওয়ামীলীগের দুইজন বিএনপি একজন ও ইউপিডিএফ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রাথী দুইজনের মনোনয়ন পত্র বাচাইয়ে বাতিল হয়। পরে ইউপিডিএফ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী নতুন কুমার আপীল শুনানীতে প্রার্থীতা ফিরে পান।
ইউপিডিএফ সমর্থিত প্রার্থী নতুন কুমার চাকমা প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় বদলে গেছে খাগড়াছড়ি ভোটরে হিসাব নিকাশ। বিগত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইউপিডিএফের সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করলে ৬৭ হাজাার ৭০০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন।
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন এই সরকারের সময়ে খাগড়াছড়ি জেলার সবচাইতে বেশি উন্নয়ন হওয়ায় ভোটার নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন বলে তিনি আশা করেন। এছাড়া তারা নৌকা মার্কাকে জেঠানোর জন্য তারা কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রবীন চন্দ্র চাকমা বলেন যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে আর প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করলে তারা নিশ্চিত ধানের শীষ জয়যুক্ত হবে।
অন্যদিকে প্রভাব শালী আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ এর সমর্থিত নতুন কুমার চাকমা আপীল শুনানীতে প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় শংকিত অনেকে। আঞ্চলিক দল গুলো চলমান সংঘাতের কারনে দলটি কোন ঠাসা হলেও তাদের রয়েছে বিশাল একটি ভোট ব্যাংক। তাই খাগড়াছড়িতে আওয়ামলীলীগ-বিএনপি ও ইউপিডিএফ সমর্থিত প্রার্থী তিন দলের মধ্যে লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকের ধারনা।
জাতীয় পাটি প্রার্থী সোলেমান আলম শেঠ ও আশা করে বলেন খাগড়াছড়িবাসী এবার অবশ্যই তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.