রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেছেন, পার্বত্য এলাকার শান্তি প্রতিষ্ঠায় কমিউনিটি পুলিশিং একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে সমাজের বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এবং পুলিশের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অপরাধ প্রতিরোধ ও জনগনের জীবনযাত্রার মানউন্নয়ন ঘটবে।
তিনি আরও বলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ-সিএইচটিডিএফ এর যৌথ প্রকল্পের অধীনে রাঙামাটি জেলা পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে থানা পুলিশের প্রশিক্ষণ, লজিস্টিক সাপোর্ট, কমিউনিটি পুলিশিং এবং নারী বান্ধব পুলিশ স্টেশন এর উন্নয়নে ২০১৪ সালে ৭১ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা এবং ২০১৫ সালে ৫০ লক্ষ টাকা সহায়তা প্রদান করে আসছে এবং আগামীতে এ ধরনের সহায়তা প্রদানের আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।
রোববার রাঙামাটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কমিউনিটি পুলিশিং সেল উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নাজমুল হাসান, এএসপি রেজাউল করিম, হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল চিত্ত রঞ্জন পাল, কমিউনিটি পুলিশিং এর সিপিও আবুল কালাম আজাদ, ইউএনডিপির কর্মকর্তা ঐসৌর্য চাকমা, কংচাই, মোঃ সালেহ, কোতয়ালী থানার অফিসার ইন-চার্জ মনু সোহেল ইমতেয়াজ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ।
আলোচনাসভা শেষে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা পুলিশ সুপার জেলা পরিষদ-সিএইচটিডিএফ-এর যৌথ প্রকল্পের অধীনে রাঙামাটি জেলা পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে থানা পুলিশের প্রশিক্ষণ, লজিস্টিক সাপোর্ট, কমিউনিটি পুলিশিং এবং নারী বান্ধব পুলিশ স্টেশনের উন্নয়নে ২০১৫ সালের অর্থ বছরের ৫০ লাখ টাকা অনুদানের সমঝোতা ম্বারক স্বাক্ষরিত হয়।
আলোচনা সভায় পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, রাঙামাটি জেলা পরিষদ আইনের ৬২ এবং ৬৩ ধারা বলে রাঙামাটি জেলা পষিদের কাছে পুলিশ বিভাগকে ন্যস্ত করার কথা রয়েছে। জেলা পুলিশকে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তর করার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করেছে। এ বিষয়টি হস্তান্তর করা হলে পরিষদ তার আইনগত ক্ষমতা বলে জেলার আইন-শৃংখলার তত্বাবধান, সংরক্ষণ এবং স্থানীয় পুলিশ গঠনে পদক্ষেপ গ্রহন করবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.