গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাবদাহে অস্থির সবাই। এর সাথে প্রতিযোগিতা দিয়ে বেড়েছে লামা-আলীকদমে বিদ্যুতের তীব্র লোডশেডিং। এতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে জন জীবন। বিশেষ করে এই সমস্যার জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বিদ্যুতের এমন লুকোচুরিতে লেখাপড়া বিঘিন্নত হচ্ছে । প্রচন্ড গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
বর্তমান সরকারের সময়ে যথেষ্ট পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং নতুন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন হলেও বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা-আলীকদম উপজেলার ভিন্নরুপ। বিদ্যুতের অবস্থা এই আছি এই নেই। অতিষ্ট জনজীবনে ত্রাহিবস্থা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে লামা বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রের আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী জানান, সারাদেশে বিদ্যুতের কোন লোড-শেডিং নেই। জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ রয়েছে পর্যাপ্ত। লামা-আলীকদমে বিদ্যুতের প্রয়োজনীয় ট্রান্সফরমার মিটার না থাকা ও হাইভোল্টেজ খুটির উপর এবং পাশে বড় বড় গাছসহ জঙ্গলাকীর্ণ থাকায় সামান্য বাতাশে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে এপ্রিল মে দু’মাস তীব্র বাতাশ-ঘূর্নিঝড় প্রবন হওয়ায় সমস্যা হয়ে থাকে। তিনি জানান জুন মাস থেকে সমস্যা কমে আসবে।
ভোল্টেজ কম কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলাকায় যতেষ্ট ক্ষুদ্র শিল্প যেমন- সমিল, ওয়েল্ডিং মেশিন, অটো রাইস মিল, হলুদ-মরিচ ভাঙ্গানো মিল ইত্যাদি সংযোগ রয়েছে। একই সাথে এই দু’ উপজেলায় প্রায় হাজার খানেক অটো রিক্সা ও টমটম-এর ব্যাটারী চার্জ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এর ঘাটতি জনিত প্রভাবতো সবার উপর পড়বেই।
এদিকে প্রয়োজনীয় মাত্রার চেয়ে একেবারে কম ভোল্টেজ হওয়ায় গ্রাহকদের বাসাবাড়ি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে- ফ্রিজ, কম্পিউটার, ফটোকপি মেশিন, মোবাইল, পানির মোটর, টিভিসহ মূল্যবান ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী নষ্ঠ হচ্ছে। বাসাবাড়িতে নিভু নিভু আলো, বৈদ্যূতিক পাখার কচ্ছপ গতি, পানির মোটর না চলা; ইত্যাদি বিষয়ে অতিষ্ট হয়ে চরম ক্ষুদ্ধ হয়ে পড়েছে সর্বস্তরের গ্রাহক।
আসন্ন পবিত্র মাহে রমযানের আগেই বিদ্যুৎ সংকট নিরসনের বিষয়টি সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ নজর দিবেন, এমনটি দাবী করেছেন লামা-আলীকদমবাসী
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.