পার্বত্য চট্টগ্রাম সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার বগাছড়ি এলাকায় গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ আদিবাসী পরিবারগুলোর প্রতি স্থানীয় প্রশাসনের নজিরবিহীন অবহেলা, নিরাপত্তাহীনতা, পুনর্বাসন না করা, সর্বোপরি বেদখলকৃত ভূমি পাহাড়িদের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
শনিবার সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ি সদরের স্বনির্ভস্থ ঠিকাদার সমিতির কার্যালয়ে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ পরবর্তী এক সংবাদ সন্মেলনে নেতৃবৃন্দ এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি কিরণ মারমা, পানছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সর্বোত্তম চাকমা, লক্ষীছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমা, রবি শংকর তালুকদার, ধীমান খীসা, ক্ষেত্র মোহন রোয়াজা, দীপায়ন চাকমা প্রমুখ।
সচেতন নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিলন দেওয়ান সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, পুনর্বাসিত বাঙালিদের দ্বারা নানিয়ারচর উপজেলার তিনটি গ্রাম বগাছড়ি, সুরিদাস পাড়া ও নবীন তালুকদার পাড়ার ৫০টি ঘর সহ সাতটি দোকান, একটি ক্লাব ঘর ও একটি বৌদ্ধ বিহার ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে ক্ষতিগ্রস্থরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতি পরিবারকে এ পর্যন্ত ৫০ কেজি চাল, একটি লুঙ্গী ও একটি গামছা দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে একটি করে ঘর নির্মাণ করার কথা বলা হলেও এ পর্যন্ত মাত্র ১০টি টিনের ঘর (বেড়া ও চাল টিন দিয়ে তৈরী) নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। নির্মিত এসব ঘরে জানালা নেই, ঘর বন্ধ করার দরজা নেই। বাকীরা নিজেদের উদ্যোগে নির্মিত ঝুপরি ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ সহ অতি দ্রুত পুনর্বাসন, হামলাকারীদের গ্রেফতার করে বিচার, পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা, ভূমি বেদখল বন্ধ করার দাবি জানান।
প্রেস ব্রিফিং-এ অভিযোগ করা হয়, খাগড়াছড়ি থেকে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে সচেতন নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা অযথা ও অবান্তর নানা প্রশ্নের সন্মুখীন হয়েছেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.