বান্দরবানের লামায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের অনুপস্থিতির কারণে স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হচ্ছে। কমপ্লেক্সে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হলেও নিয়মিত কর্তব্য পালন না করে সরকারী- সুযোগ সুবিধাসহ মাস শেষে বেতন তুলে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, কমপ্লেক্সে নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. শ্রাবনী নাথকে অনুপস্থিত থাকার কারণে তার হাজিরা খাতায় লাল কালি দিয়ে অনুপস্থিতি এবং বেতন কর্তন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
লামা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে লামা হাসপাতালে ৬জন চিকিৎসক নিয়োগ রয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) ডা. উইলিয়াম লুসাই, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শফিকুর রহমান মজুমদার, গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. মাকসুদা বেগম, ডেন্টাল সার্জন শ্রাবনী নাথ, সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডা. নজরুল ইসলাম ও ডা. মো. আবুল বশর সুফিয়ান। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. উইলিয়াম লুসাই, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শফিকুর রহমান মজুমদার নিয়মিত কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সাপ্তাহে দুদিন মাত্র দায়িত্ব পালন করেন সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডা. নজরুল ইসলাম। কিন্তু বাকি ৩জন চিকিৎসক কমপ্লেক্সে যোগদানের পর থেকে জরুরী প্রয়োজনে কমপ্লেক্সে আসলেও অধিকাংশ সময় অনুপস্থিত থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, কমপ্লেক্সে প্রচুর রোগী লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। কিন্তু সেবা দেয়ার মত চিকিৎসক নেই। ফলে চিকিৎসক না থাকায় দুরদুরান্ত থেকে আসা রোগীরা স্বাস্থ্য সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে বান্দরবান সিভিল সার্জন উদয় শংকর চাকমা এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি গেল মাসে পরিদর্শনে গিয়ে অনুপস্থিত থাকার কারণে ডা. শ্রাবনী নাথ এর হাজিরা খাতায় লাল কালি দিয়ে অনুপস্থিত দিয়েছেন এবং তার বেতন কাটতে বলা হয়েছে।
তবে অন্যান্য চিকিৎসদের অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাকে জানাননি। তাকে জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.