কাপ্তাই হ্রদে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে মৎস্য থেকে ১০কোটি ৬০ লাখ ৭৪ হাজার টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে। যা এ হ্রদের মৎস্য থেকে অতীতের সকল রাজস্ব আয়ের রেকর্ড ভঙ্গের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটির প্রাপ্ত এক প্রেস বার্তায় এ তথ্য জানা গেছে।
প্রেস বার্তায় উল্লেখ করা হয়, বিএফডিসি’র রাঙামাটির ব্যবস্থাপক কমান্ডার মোঃ মাইনুল ইসলামের প্রচেষ্টায় দীপ্ত পদক্ষেপের কারণে কারনে কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। মৎস্য প্রজনন মৌসুমে অবৈধ্য মৎস্য আহরণ ও পাচার রোধ, মৎস্য আইন বাস্তবায়ন, কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্তি এবং অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনায় বিশেষ ভুমিকার কারনে চলতি ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য উৎপাদন ছিল ৯৫৮৮.৫৫ মে. টন।
তিন মাস বন্ধ থাকার পর হ্রদে মাছ শিকার উন্মুক্তের প্রথম দিনেই এ হ্রদ থেকে প্রায় ১৪৬ মে. টন মাছ অবতরন হয়েছে। যার রাজস্ব আয় হয়েছে ১০ কোটি ৬০ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা। যা অতীতের মৎস্য উৎপাদন ও রাজস্ব আয়ের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। বিগত ১৯৬৫-৬৬ অর্থ বছরে ১২০৬.৬৩ মে. টন মৎস্য উৎপাদনের মাধ্যমে কাপ্তাই হ্রদ হতে বাণিজ্যিকভাবে মৎস্য উৎপাদন শুরু করা হয়।
প্রেস বার্তায় আরো বলা হয়, কাপ্তাই হ্রদের প্রতিটি রেকর্ড পূর্বের তুলনায় বহুগুনে ভাল। ২০১৩ সালে একদিনে মৎস্য অবতরনের পূর্বের ৫০ (পঞ্চাশ) মে. টনের রেকর্ড ভঙ্গ করে ৯৮ (আটানব্বই) মে. টন মাছ অবতরন করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে আবার সেই রেকর্ড ভঙ্গ করে ১২২ (একশত বাইশ) মে. টন মাছ অবতরন করতে সক্ষম হয়েছে। বিগত ১৯৬৫-৬৬ অর্থ বছরে ১২০৬.৬৩ মে. টন মৎস্য উৎপাদনের মাধ্যমে কাপ্তাই হ্রদ হতে বাণিজ্যিক ভাবে মৎস্য উৎপাদন শুরু হয়।
প্রেস বার্তায় বলা হয়, বিএফডিসি’র ব্যবস্থাকের বিভিন্ন কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের ফলশ্রুতিতে ইদানিং হ্রদের মৎস্য উৎপাদন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। মৎস্য প্রজনন মৌসুমে অবৈধ্য মৎস্য আহরণ ও পাচার রোধ, মৎস্য আইন বাস্তবায়ন, কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্তি এবং অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনায় বিশেষ ভুমিকার কারনে বিগত ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে কাপ্তাই হ্রদ হতে রাজস্ব আয়ের রেকর্ড ভঙ্গকারী স্বরনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছিল যার পরিমাণ ৯ কোটি ৩৫ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা। আবার চলতি ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে অতীতের মৎস্য উৎপাদন ও রাজস্ব আয়ের সেই সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে পূনঃরায় নতুন রেকর্ডের অন্যন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে।
এ সাফল্যেকে নিঃসন্দেহে একটি ঈর্ষনীয় সাফল্য হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে। কাপ্তাই লেকে মৎস্য উৎপাদনে অন্তরায় বিভিন্ন প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও অতীতের সকল রেকর্ড এতো ব্যাপক পার্থক্যে ভঙ্গ করা সন্দেহাতীত ভাবে প্রশংসনীয়।
উল্লেখ্য,কাপ্তাই হ্রদে মাছের সুষ্ঠু প্রজনন বংশ বৃদ্ধি, মজুদ এবং ভারসাম্য রক্ষার্থে সকল প্রকার মৎস্য আহরণ ও পরিবহন তিন মাস বন্ধ থাকার পর গেল রোববার মধ্যরাত থেকে সবাইয়ের জন্য মাছ শিকারের উন্মুক্ত করা হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.