বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অধীনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ভূয়া অভিযোগ ও অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী তুলেছেন বিভিন্ন মহল। ইতোমধ্যে জেলা পরিষদের এ অভিযোগ তদন্ত করে মিথ্যা ও গুজব হিসেবে প্রমাণ পেয়েছে।
জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। একই দিন একটি অনলাইন মিডিয়ায় মোঃ কামরুজ্জমান নামে ব্যক্তি নিজ নামে “লামায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র বিক্রি হয়েছে” শিরোনামে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত রিপোর্টে প্রশ্ন পত্র ফাঁসের ও বিক্রির দাবী করা হয়েছে। রিপোর্টের সত্যতা নিরূপনের জন্য বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ বিভিন্ন মাধ্যমে তদন্ত করা হয়। কিন্তু প্রকাশিত রিপোর্টে তদন্তে মিথ্যা এবং গুজব হিসাবে প্রমানিত হয়।
সূত্র আরও জানায়, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমকে বিভ্রান্ত এবং বিতর্কিত করার চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্ল। ইতোমধ্যে প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ানো ব্যক্তি ও একটি অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশিত মিথ্যা রিপোর্টের বিষয়ে আইসিটি এ্যাক্টে মামলা দায়ের জন্য জেলা পরিষদ নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিজেই এ বিষয়টি তদন্ত করেছেন।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তফা জামাল জানান,প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ জেলা পরিষদের অধীনে ন্যস্ত। বান্দরবানে পার্বত্য জেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিতর্কিত করার হীন চেষ্টায় অনলাইন মিডিয়ায় এ মিথ্যা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ফাতেমা পারুল জানান, মিথ্যা গুজব ছড়ানোদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন জরুরী হয়ে পড়েছে।
বান্দরবান পার্বত্য জেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবদুল কাদের জানিয়েছেন, অনলাইন মিডিয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো ও অপপচারের কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক হয়ে পড়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের ভাবমুর্তি নিয়ে ছিনিমিনি খেলাকারীদের আইনের আওতায় আনা সময়ে দাবী হয়ে পড়েছে। শিক্ষক নিয়োগ প্রশ্নপত্র বিক্রি ও ফাঁসের অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীণ বলে তিনি দাবী করে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.