পাহাড়ী তুলা গবেষনা কেন্দ্র বান্দরবানের বালাঘাটায় তুলার বাম্পার ফলন হয়েছে।
বান্দরবান তুলা গবেষনা কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়,২০১৫-২০১৬ ইং তুলা চাষ মৌসুমে ১হেক্টর জমিতে প্রজনন,কৃষি তত্ত্ব ও কীট তত্ত্ব বিষয়ে ৮টি গবেষনা কার্যক্রম স্থাপন করা হয়েছে।
১ দশমিক ৫ হেক্টর জমিতে পাহাড়ী জাতের তুলার প্রজনন বীজ,মৌল বীজ বা ভিত্তি বীজ উৎপাদনের উৎপাদনের কার্যক্রম স্থাপন করা হয়েছে। ১ দশমিক হেক্টর জমিতে সমভুমি বা আমেরিকান জাতের তুলার মৌল বীজ ও ভিত্তি বীজ উৎপাদন কার্যক্রম স্থাপন করা হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, ইতোমধ্যে তিন পার্বত্য এলাকায় দেশী শিমুল তুলা,বার্মা শিমুল তুলা ও ট্রি-কাঠনের চারা পলিবেগে উৎপন্ন করে বিনামূল্যে চাষীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। উক্ত গবেষনা কেন্দ্রে সিবি-১২,সিবি-১৩ ও সিবি-১৪ জাতের সমতল ভূমির তুলা চাষ করা হয়েছে।এ তুলার ঢাল প্রতি৫-৭টি বোল ধরে এবং প্রতি গাছে ১৫-১৭টি ফল ধরা শাখা থাকে।
বান্দরবান বালাঘাটার গবেষনা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ নুর হোসাইন চৌধুরী জানান পাহাড়ী তুলা চাষে ই গবেষনা কেন্দ্র পাহাড়ী তুলা-১ ও পাহাড়ী তুলা-২(খাকী) দুইটি জাত উদ্ভাবন করে এবং জিএন-১৩ নামে আরও একটি জাত অচিরেই মুক্তি পাবে।
এই তুলার চাষ থেকে উৎপন্ন পরিশোধিত তৈল রান্নারান্নার কাজে ব্যবহার যাবে। এছাড়া অপরিশোধিত তৈল সাবান,ঔষধ ও প্রসাধনী সামগ্রী তৈরীতে ব্যবহার করা যায় ও চাষ খোসা খৈল ও জৈব সার তৈরীতে ব্যবহার করা যায়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.