রাঙামাটি পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধি সাত মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে সম্পদশালী ও আয় রয়েছে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের(জগ)।
উল্লেখ্য, এবার রাঙামাটি পৌর সভা নির্বাচনে ৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তারা হলেন আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী আকবর হোসেন চৌধুরী (নৌকা), বিএনপির দলীয় প্রার্থী সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ভূট্টো (ধানের শীষ) ও জাতীয় পার্টির দলীয় প্রার্থী ডাঃ শিব প্রসাদ মিশ্র (লাঙ্গল),পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির স্বতন্ত্র প্রার্থী ডাঃ গঙ্গা মানিক চাকমা (নারিকেল গাছ), আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী হাবিবুর রহমান (জগ), অমর কুমার দে (মোবাইল ফোন) ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রবিউল আলম রবি (কম্পিউটার)। রাঙামাটি পৌর সভায় মোট ভোটার রয়েছে ৫৮ হাজার ৯১৬ জন(পুরুষ-৩২১৮৬ ও মহিলা ২৬৭৩০জন)।
রাঙামাটি পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের ব্যবসা, বাড়ীভাড়া ও দোকানভাড়া থেকে বাৎসরিক আয় হচ্ছে ১৫ লাখ ১৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে কৃষি থেকে ৫হাজার, বাড়ী ভাড়া ৪লাখ, ব্যবসা থেকে ৯২ হাজার ৯ শ টাকা এবং চাকুরী ও নির্ভশীলদের আয় ১০লাখ ২০ হাজার টাকা। তার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে নগদ ৫৫ হাজার টাকা ও ব্যাংকে ৮লাখ ২১ হাজার টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণসহ ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্র। স্থাবর সম্পদের মধ্যে পৈত্রিক সূত্রে কৃষি জমির পরিমাণ ২৬ একর ৫১ শতক, অকৃষি ৬৭ একর ২১ শতক, টিনসেট ১০টি(চট্টগ্রাম), এপার্টমেন্ট ১টি, এক ইউনিট বাড়ী ১টি ও একটি সেমিপাকা বাড়ী।
দ্বিতীয় সম্পদশালী ও আয় রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সমর্থিত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. গঙ্গামানিক চাকমার(নারিকেল গাছ)। তার চিকিৎসা ও কৃষি খাত থেকে বাৎসরিক আয় ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদ নগদ ১লাখ ৫০ হাজার টাকা, বন্ড ১লাখ টাকা, স্থায়ী আমানত ৩০ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে ৮০ হাজার,৩০ভরি স্বর্ণ ছাড়াও ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্র রয়েছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে কৃষি জমি ৫ একর, স্ত্রীর নামে ৫একর, নির্ভরশীলদের নামে ১০একর,যৌথ মালিকানায় ৪০ কানি এবং অকৃষি জমি ৬শতক ও ১টি বাড়ী রয়েছে।
সম্পদশালীর মধ্যে তৃতীয় তালিকায় রয়েছেন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রবিউল আলম ররির(কম্পিউটার)। তার আয় ৩লাখ ৪০ হাজার টাকা। তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ও ব্যাংকে জমা ১লাখ ৩৫ হাজারসহ ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্র। স্থাবর সম্পদ রয়েছে কাচাঁ বাড়ী ১টি।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী ডা.শিব প্রসাদ মিশ্রের অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ১টি মোটর সাইকেল, ২টি স্ক্র্যাপ গাড়ী, ৫ভরি ৪ আনা স্বর্ণসহ ছাড়াও ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্র।
বিএনপি’র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র সাইফুল চৌধুরীর বাৎসরিক আয় মেয়রের সন্মানী ভাতা থেকে ২লাখ ৪০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদ নগদ ও ব্যংকে ১লাখ ৯০ হাজার টাকা, ৩ভরি স্বর্নসহ ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্র।
আওয়ামীলীগ প্রার্থী আকবর হোসেনের ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় ২লাখ ৭২ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ও ব্যাংকে ১লাখ এক হাজার টাকা, স্বর্ণ ৫তোলা,মোবাইল ১টি,খাট ১টি। স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে বরকলের ছোট হরিণা বাজারের বাজাফান্ডের দোকান প্লট ১টি।
আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অমর কুমার দে-এর ব্যবসা থেকে আয় ২লাখ ৬০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদ রয়েছে নগদ ও ব্যাংকে ৬লাখ ৯২ হাজার টাকা, স্বর্ণ দেড় ভরিসহ ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্র। তার স্থাবর সম্পদ রয়েছে কৃষি জমি ৬খানি, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া দ্বিতল বাড়ী ও যৌথ মালিকার দালানের এক অংশ।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.