রাঙামাটি সরকারী কলেজের প্রথম বর্ষে ভর্তির সময় বিভিন্ন খাদে বাড়তি ফি আদায়ের অভিযোগে এনে ছাত্রসংগঠনগুলো প্রতিবাদ করায় মঙ্গলবার কলেজের ভর্তির কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ফলে কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীরা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে সমস্যা সমাধান হয়েছে। বুধবার থেকে ভর্তির কার্যক্রম চলবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি সরকারী কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ২০১৪-১৫এর শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের মঙ্গলবার ভর্তি দিন নির্ধারিত ছিল। এতে ছাত্রলীগ, ছাত্র দল ও পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কলেজ শাখার নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন খাদে বাড়তি ফি আদায় করা হচ্ছে অভিযোগসহ কলেজের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ মঈন উদ্দীনকে ভর্তির কমিটির আহ্বায়ক থেকে অপসারনের দাবি করে প্রতিবাদ জানায়। এক পর্যায়ে ছাত্র নেতারা ভর্তি ফরম বিতরণ ও ভর্তি বন্ধ করতে রুমে তালাও দেয়। পরে তারা কলেজের অধ্যক্ষ রুমের সামনে ভর্তির কার্যক্রম বন্ধের জন্য শ্লোগান দিলে কলেজ কর্তৃপক্ষ ভর্তির সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখে। পরবর্তীতে কলেজের তিন ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে নয় দফা দাবি জানায়। এক পর্যায়ে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বাঞ্চিতা চাকমা তিন ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সাথে তার অফিস কক্ষে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন। এ সময় ছাত্র নেতাদের উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন, ছাত্র দলের কলেজ শাখার সভাপতি ইমরান চৌধুরী সূজন, সাধারন সম্পাদক অলি আহাদ ও পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কলেজ শাখার সভাপতি রিন্টু চাকমা প্রমুখ।
অধ্যক্ষকের কাছে দেয়া নয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে নৈশ প্রহরীর বেতন বাবদ তিনশ টাকার পরিবর্তে দুইশ টাকা, উন্নয়ন তহবিল বাবদ দুইশ টাকার পরিবর্তে একশ টাকা ভর্তি বাবদ কেটে রাখা,কলেজের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ মঈন উদ্দীনকে ভর্তির কমিটির আহ্বায়ক থেকে অপসারনসহ ইত্যাদি।
কলেজের ছাত্রসংগঠনের নেতারা জানান, সাধারন গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে ও ভর্তি বানিজ্য বন্ধ করতে এসব দাবিতে এ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন।
কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ মঈন উদ্দীন জানান, তিনি দীর্ঘ ১০ থেকে ১২ বছর ধরে এই কলেজের অধ্যাপনা করে যাচ্ছেন। তাকে যে ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে তিনি খুবই স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষ প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এর আগেও স্নাতকের নতুন বর্ষের ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়েছে তাতে তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনা হয়নি। এখন কেন অভিযোগ আনা হচ্ছে জানি না? তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তির জন্য ১০থেকে ১৫জনকে ভর্তির জন্য স্লিপ দেয়া হলেও ছাত্রসংগঠনের নেতাদের প্রতিবাদের কারনে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। আশাকরি বুধবার ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তি হতে পারবে।
কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর বাঞ্চিতা চাকমা জানান, ছাত্রসংগঠনের নেতারা যে দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে সেই সব দাবি নিয়ে তাদের সাথে আলোচনার পর সমাধানে পৌঁছনো গেছে। বুধবার থেকে নতুন বর্ষের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবে।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.