তিন পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলে মৎস্য চাষের জন্য বিশাল সম্ভবনাময় এলাকা। এশিয়ার বৃহত্তম এ কাপ্তাই সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে জেলা ও দেশের মানুষের মৎস্য চাহিদা মিটিয়ে বাইরেও রপ্তানী করা সম্ভব।
সোমবার রাঙামাটিতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী দিনে মূল্যায়ন সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা মৎস্য দপ্তরের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ, জেলা পরিষদ সদস্য ও মৎস্য বিষয়ক আহ্বায়ক সাধন মনি চাকমা, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা রহমান শম্পা প্রমূখ। স্বাগত বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম মৎস্য চাষ উন্নয়ন ও সম্প্রসারন প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক মৎস্য কর্মকর্তা আবদুর রহমান। অনুষ্ঠানে তিন জন সফল মৎস্য চাষীদের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদপত্র এবং জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ২৫জন দরিদ্র মৎস্য চাষীদের মাঝে মৎস্য পোনা বিতরণ করা হয়।
সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু আরও বলেন, মা মাছরা ডিম পারার সময় যে তিন মাস মৎস্য শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। সেই তিন মাস জেলেদের মাছ মার থেকে বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি কারেন্ট জাল ও ঝাঁক দিয়ে মাছ মারা থেকে বিরত থাকতে হবে। তিনি বেকার যুবকদের ক্রীকের মাধ্যমে মৎস্য চাষ করে আতœকর্মসংস্থান সৃষ্টিরও পরামর্শ দেন। সভাপতির বক্ত্যব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান সরকার পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের প্রতি খুবই আন্তরিক তাই মহাজোট সরকার ক্ষতায় আসার পর পরই পার্বত্য জেলার মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্রীকের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এটি পার্বত্যবাসীর জন্য একটি বড় পাওয়া। এখন নিজেদের প্রচেষ্টা ও সরকারকর্তৃক প্রদত্ত সুবিধাগুলোকে কাজে লাগিয়ে সফলতা বয়ে আনতে হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.