রাঙামাটি জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদের নারীদের জন্য সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। উপজেলার এক আসনে তিন ইউনিয়নের চার জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ভোট লড়াইয়ে প্রস্তুতি চলছে।
নির্বাচন কমিশন(ইসি) তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ২১ মে, মনোনয়নপত্র বছাই ২৩ মে এবং প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩০ মে। ভোট অনুষ্ঠিত হবে ১৫ জুন।
এদিকে, জুরাছড়ি ইউনিয়নের ১,২,৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য বিনন্দীনি চাকমা ও একই ইউনিয়নের ৭,৮,৯নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য জলংগ রানী চাকমা, বনযোগীছড়া ইউনিয়নের ৭,৮,৯নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য জ্যো¯œা তালুকদার, দুমদুম্যা ইউনিয়নের ১,২,৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য কাজলা চাকমা মনোনয়নপত্র গ্রহন করেছেন বলে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় নিশ্চিত করেছেন।
খোজ নিয়ে জানা যায়, জুরাছড়ি ইউনিয়নে উপজেলা পরিষদের সদস্য পদের প্রার্থী ১,২,৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য বিনন্দীনি চাকমার শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেনী পাস। তিনি বিগত ২০০৬ সালে ইউপি নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্ধির কাছে হেরে যান। পরবর্তীতে ২০১১ সালে নিকটতম প্রতিদ্ধন্ধিকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন।
একই ইউনিয়নে ৭,৮,৯নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য জলংগ রানী চাকমা শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেনী পাস। তিনি বিগত ২০০৬ সাল থেকে পর পর ২বার সংরক্ষিত আসনে নির্বাাচত হন।
বনযোগীছড়া ইউনিয়নে উপজেলা পরিষদের সদস্য পদের প্রার্থী ৭,৮,৯নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য জ্যোস্না তালুকদারের শিক্ষাগত যোগ্যতা এস,এস,সি পাস। উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের সাধারণ সম্পাদকও তিনি। বিগত ২০০৩ সাল থেকে বার বার সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য পদে নির্বাচিত হন।
দুমদুম্যা ইউনিয়নে উপজেলা পরিষদের সদস্য পদের প্রার্থী ১,২,৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য কাজলা চাকমার শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী পাস। তিনি বিগত ২০০৬ সালে ইউপি নির্বাচনে নিকট তম প্রতিধন্ধির কাছে হেরে যান। পরবর্তি ২০১১ সালে নিকট তম প্রতিধন্ধিকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন।
জুরাছড়ি ইউনয়নের ৫,৬,৭ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য মল্লিকা বলেন, যে সদস্য নারী উন্নয়নে তথা এলাকা উন্নয়নে প্রগতিশীল চিন্তা-ভাবনা রয়েছে তাঁকে উপজেলা পরিষদের সদস্য পদে দেখতে চাই।
মৈদং ইউনিয়নের রিতা চাকমা বলেন, এলাকা উন্নয়নের পূর্ব শর্ত শিক্ষা, যে প্রার্থীর মাঝে শিক্ষাগত যোগ্যতা, সংরক্ষিত নারী সদস্যদের ও উন্নয়নে কাজ করার আকাংখার চিন্তার মনোভাব রয়েছে তাঁকেই উপজেলা পরিষদের সদস্য পদে দেখতে চাই।
বনযোগীছড়া ইউনিয়নের ১,২,৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য সুভাগী চাকমা বলেন, উপজেলা পরিষদে প্রতিনিধিত্ব ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা খুবই গুরুত্বপূর্ন বিষয়। যার মাঝে শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে-তাঁর মাঝে নেই কোন বৈষম্য, অহংকারী মনোভাব, রয়েছে উন্নয়নের চেতনা এমন প্রার্থীকেই সম্মিলিতভাবে উপজেলা পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচিত করা উচিত।
এ নির্বচানের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো নারী সদস্য উপজেলা পরিষদে যোগ দেবেন। এর মাধ্যমে জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদের পুর্ণাঙ্গ রূপ পাবে। এর আগের উপজেলা পরিষদে নারী সদস্যদের পদে নির্বাচন না হওয়ায় উপজেলা পূর্নাঙ্গ পরিষদের রূপ পায়নি।
এ নির্বাচনে ভোটার হবেন সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার সংরক্ষিত নারী সদস্যরা। সে ক্ষেত্রে এ উপজেলায় জুরাছড়ি, বনযোগীছড়া, মৈদং ও দুমদুম্যা ইউনিয়নের ১২ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন বলে জানা গেছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.