দেড় মাস পানিতে ডুবে থাকার পর সিম্বল অফ রাঙাামাটি ঝুলন্ত সেতুটি জেগে উঠেছে। শুক্রবার থেকে সেতুটি পর্যটকসহ সবাইয়ের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এতে সিম্বল অফ রাঙামাটি সেতুটি তার পুরনো রুপ ফিরেছে। সেতুটি উন্মুক্তের পর পর্যটকরা সৌন্দর্য্য উপভোগ করছেন।
জানা গেছে, ভারী বর্ষনের কারণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় রাঙামাটির পর্যটনের ঝুলন্ত সেতুটি গেল ৩ সেপ্টেম্বর পানিতে ডুবে যায়। এতে পর্যটন কর্তৃপক্ষ সেতুর উপর দিয়ে চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেয়। গেল মঙ্গলবার সেতুটি জেগে উঠায় কর্তৃপক্ষ সেতুটি মেরামতসহ রঙকরণ করে পর্যটকদের চলাচলের উপযুক্ত করে। শুক্রবার সকাল পর্যটন কর্তৃপক্ষ সেতুর উপর দিয়ে পর্যটকসহ সবাইয়ের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সকাল থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকরা সেতুর উপর চলাচল ও তার সৌন্দর্য্য উপভোগ করছেন। দৃশ্যত এখন পর্যটন ঝুলন্ত সেতু ও তার আশপাশ এখন লোকজনের সমাগম হয়ে উঠেছে। দোকানীরা খাবার থেকে বিভিন্ন পণ্যর পসরা সাজিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ৭০ দশকের শেষের দিকে সরকার রাঙামাটি জেলাকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষনা করে। ১৯৮৪ সালের দিকে পর্যটন কর্পোরেশন পর্যটকদের সুবিধার্থে ও মনোরঞ্জনের জন্য দুই পাহাড়ের মাঝখানে তৈরী করা হয় আকর্ষনীয় এ ঝুলন্ত সেতু। তবে সেততুটি প্রতিবছর কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেলে সেতুটি দুই থেকে তিন মাস পানিতে ডুবে থাকে।
পর্যটন ঘাটের ইজারাদার রমজান আলী বলেন, দেড় মাস পর সেতৃুটি খুলে দেওয়ায় এখন ব্যস্ত সময় কাটাবো। তবে এই দেড় মাসে বোট মালিক থেকে সংশ্লিষ্টদের অনেক লোকসান হয়েছে। আশা করছি পরবর্তীতে এ লোকজসান পুষিয়ে নিতে পারবো।
রাঙামাটি সরকারী পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে শুক্রবার থেকে ঝুলন্ত সেতুটি চলাচলে পর্যটকসহ সবাইয়ের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে পানিতে সেতুটি পাটাতন কিছু স্থানে নষ্ট হওয়ায় সেগুলো মেরামত করা হয়েছে। এছাড়া পর্যটনের বিভিন্ন স্থানে রঙকরণও অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ঝুলন্ত সেতুটি বন্ধ থাকায় দেড় মাসে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার আর্থিক লোকসান হয়েছে। আশা রাখি সামনে শারদিয়া দুর্গা পূজাসহ অন্যান্য ছুটির দিনগুলোতে এ আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবো।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.