খাগড়াছড়িতে নতুন বছরের প্রথম দিনে সব শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক পায়নি শিক্ষার্থীরা। রোববার সকাল থেকে জেলার ৭ শ ৬ টি সরকারি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১ শ ২৩ টি মাধ্যমিক-নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক যোগে বই বিতরণ উৎসব শুরু হয়।
খাগড়াছড়ি সদরের ঠাকুরছড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তোলা দেয়ার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু। এ সময় প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের আহবায়ক নিলোৎপল খীসা, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাহাব উদ্দিন সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বছরের প্রথম দিনে নতুন পাঠ্যপুস্তক পেয়ে উচ্ছাসিত শিক্ষার্থীরা। তবে প্রাথমিকের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা কোন পাঠ্যপুস্তক পায়নি। একই অবস্থা নিম্ন মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণীতেও। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, খাগড়াছড়িতে প্রাথমিক পর্যায়ের ১ লাখ ১৩ হাজার ২ শ ৩২ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৪ লাখ ৫৭ হাজার ৬ শ ৯২ টি পাঠ্যপুস্তকের চাহিদার বিপরীতে মিলেছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৬ শ ৫৯ টি। যা মোট চাহিদার ৩৮ শতাংশ। তবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য শতভাগ পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষা উপকরণ পাওয়া গেছে।
এদিকে মাধ্যমিকে পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা সাড়ে ৯ লাখ হলেও দাখিল ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ছাড়া অন্য মাধ্যমের পুরোপুরি পুস্তক পাওয়া যায়নি। খাগড়াছড়ি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা জানান জেলায় মাধ্যমিক ও নিন্ম মাধ্যমিক মিলে ১শ২৩ টি বিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে মাধ্যমিকে সপ্তম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত এবং কারিগরি ও মাদ্রাসার সকল বই পাওয়া গেছে। শুধু ষষ্ঠ শ্রেণির বই পাওয়া যায়নি। তিনি জানান ষষ্ঠ শ্রেণির বই পরিবর্তন হওয়ায় বই পেতে দেরী হচ্ছে, তবে দ্রুত বই পাওয়া যাবে। তিনি আরো জানান জেলার সকল বিদ্যালয়ে বই উৎসব পালন করা হয়েছে।
---হিলবিডি/সম্পাদনা/এ,ই