মঙ্গলবার রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলায় লিগ্যাল এইড কমিটি এবং ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্যদের নিয়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজস্থলী উপজেলা পরিষদ গণমিলনায়তনে সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শান্তনু কুমার দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ মো. জুনাইদ। বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উবাচ মারমা, সাবেক চেয়ারম্যান ও হেডম্যান উথিন সিন মারমা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অংনুচিং মারমা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা রুইহ্লা অং মারমা, ঘিলাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রবার্ট ত্রিপুরা, গাইন্দ্যা ইউপি চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমা, বাঙ্গালহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আদোমং মারমাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা।
এর আগে রাজস্থলী উপজেলা সদরে দুইটি বিরোধপূর্ণ জমিতে সরেজমিন মীমাংসা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে সরকারিভাবে সার্ভেয়ার দ্বারা দুইটি জমির পরিমাপ করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, সরকারের জেলায় জেলায় লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপনের মধ্য দিয়ে নিপীড়ন ও দুস্থ মানুষেরা ন্যায়বিচার পাচ্ছেন। ইতোপূর্বে এই উপজেলার অনেক মানুষ লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসা করেছেন। আমাদের সাধারণ মানুষের মাঝে এই সেবাকে আরো ত্বরান্বিত করতে কাজ করতে হবে।
জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ মো. জুনাইদ বলেন, আদালতে যাওয়া বিচারপ্রার্থীরা অনেক সময় ভোগান্তির শিকার হন। আবার কখনো কখনো অর্থাভাবে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আদালতে যেতে পারেন না। সাধারণ মানুষকে সরকারি খরচে আইনি সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে লিগ্যাল এইড সারাদেশে কাজ করছে। রাঙ্গামাটিতেও প্রান্তিক ও দরিদ্র মানুষের আস্থা বেড়েছে লিগ্যাল এইড সেবায়। আপসে বিরোধ নিষ্পত্তির ফলে সিভিল মামলার জট কমছে এবং বিরোধ দ্রæত নিষ্পত্তিতে মানুষের অর্থ ব্যয় ও সময় কমে এসেছে।
উল্লেখ্য জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৯০১টি আবেদন জমা পড়ে। এরমধ্যে পুরনো মামলাসহ চলতি বছরে ৭৫০ মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। নভেম্বর পর্যন্ত জেলার আট উপজেলায় মোট ৮৮টি বিরোধপূর্ণ জমিতে গিয়ে মীমাংসা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। লিগ্যাল এইড অফিসে আপসে বিরোধ মীমাংসার পাশাপাশি ৮৮ লাখ ২০ টাকা নগদ আদায় করা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.