‘‘ভ্যাকসিন হিরো সম্মান, স্বাস্থ্য সহকারীর অবদান” এই স্লোগানকে সামনে রেখে রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় সারাদেশের ন্যায় বেতন বৈষম্য নিরসন, স্বাস্থ্য সহকারীরা নিয়োগবিধি সংশোধন করে ১৩ তম বেতন গ্রেড ও টেকনিক্যাল পদমর্যার দাবীতে ১৪ দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছে।
গেল ২৬ নভেম্বর থেকে জুরাছড়ি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধীনে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী, পরিদর্শকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনে নেমেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ফটকের সামনে ব্যানার লাগানো। সামনে বসা স্বাস্থ্য সহকারী ও পরির্দশক। তাদের মধ্যে অনেকের শরীরে মোড়ানো মুনি পতাকা রয়েছে। আবার অবস্থানকৃত জায়গায় ৫টি টিকা বক্স বসিয়ে রাখা হয়েছে। এভাবে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করে। এই কর্মবিরতিতে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ৯৬টি অস্থায়ী ও ১টি স্থায়ী টিকা প্রদান কেন্দ্রে পাঁচশতাধীক মা ও শিশু টিকা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
দেশের ২৬ হাজার স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারিদের সংগঠন বাংলাদেশ হেলথ এসিস্যান্ট এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় দাবী বাস্তবায়ন পরিষদ এই কর্ম বিরতির ঘোষনা দেন। তাদের দাবী, নিয়োগ বিধি সংশোধনসহ ক্রমানুসারে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারিদের বেতন গ্রেড ১৬ থেকে যথাক্রমে ১১, ১২ ও ১৩ তম গ্রেডে উন্নীতকরণ।
বাংলাদেশ হেলথ এসিসট্যান্ট এসাসিয়েশন জুরাছড়ি শাখার সদস্য ধর্ম চন্দ্র চাকমা, লিটন শীল, সুনিল চাকমা বলেন, স্বাস্থ্য সহকারিদের কাজের অর্জনেই আজ বাংলাদেশ টিকাদানে বিশেষ রোল মডেল পরিণত হয়েছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতটি পুরস্কারে ভুষিত হয়েছেন। ১৯৯৮ সালে ৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারিদের এক মহা সমাবেশে বেতন বৈষম্য নিরসনের ঘোষনা দিয়েছিলেন।
স্বাস্থ্য সহকারী জয়া চাকমা, ইতি খীসা বলেন, ২০১৮ সালে ২ জানুয়ারি তৎকালিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবী মেনে নিয়ে বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি করেন। চলতি বছর ২০ ফেব্রুয়ারি হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন বর্জন করলে স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও সচিব দাবি মেনে নিয়ে একটি লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু কোন প্রতিশ্রুতিই বাস্তবায়ন হয়নি। এসব প্রতিশ্রুতির দ্রুত বাস্তবায়ন চায়। দাবি পূরনে প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.