রাঙামাটি জেলা শহরকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী। এ উদোগকে স্বাগত জানিয়েছে ঐক্যমত পোষণ করেছেন জেলা আইন শৃঙ্খলা সভার সদস্যরা।
বক্তারা বলেন, সিসি ক্যামেরা লাগানো হলে রাঙামাটি শহরের আইন শৃঙ্খলা অনেক উন্নতি হবে। সন্ত্রাসী ও সংঘর্ষকারীরাও নিজেরাই সচেতন হয়ে যাবে। কারণ নিরাপত্তা বানিহীর সদস্যরা কন্ট্রোল রুমে বসেই রাঙামাটি শহরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতো।
রোববার রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিল্পী রানী রায়, রাঙামাটি পৌর মেয়র মোঃ আকবর হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ছুফি উল্লাহ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ত্রিদীব কান্তি দাশ, রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা, আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগেরসহ সভাপতি হাজী মোঃ কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, প্রবীন সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, প্রবীন সাংবাদিক এস,এম শামসুল আলম, রাঙ্গামাটি সাংবাদিক ফোরাম সভাপতি নন্দন দেবনাথ সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এবং আইন শৃঙ্খলা সভার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ছুফি উল্লাহ বলেন, রাঙামাটি শহরকে যদি সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয় তাহলে সন্ত্রাস, মাদক সহ বিভিন্ন অপরাধ মুলক কার্যক্রম কমে আসবে। রাঙামাটি শহরের প্রবেশ মুখ মানিকছড়ি থেকে শুরু করে পুরো শহরকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনলে একটি জায়গা থেকেই মনিটর করা যাবে। দিনে ও রাতে ২৪ ঘন্টায় শহর নজরদারীতে থাকবে। কোথাও কোন অপরাধ হলেই সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
জেলা প্রশাসক এ,কে,এম মামুনুর রশিদ তার বক্তব্যে বলেন, রাঙামাটি শহরকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা অনেক আগেই নেয়া দরকার ছিলো। বর্তমান অবস্থাতে শহরকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা গেলে অপরাধ কমে আসবে। তিনি বলেন এই জন্য সকলের সহযোতিতা প্রয়োজন। রাঙামাটির সকল প্রশাসন ও উন্নয়ন সংস্থা গুলো যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে সিসি ক্যামেরা আওতায় নিয়ে আসতে কষ্ট হবে না। তিনি বলেন, আমরা প্রথমে অল্প কিছু দিয়েই এই কার্যক্রম শুরু করতে চেষ্টায় আছি। সকলের সহযোগিতা পেলে ব্যাপক আকারে করা হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.