অধিকাংশ সরকারী কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে অনিয়মিত ও জাতীয় দিবসে সরকারী দপ্তরে কর্মকতা অনুপস্থিতি দুঃখজনক।
শনিবার জুরাছড়ি উপজেলায় জাতীয় সমবায় দিবসে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা একথা বলেন।
জুরাছড়ি উপজেলায় সমবায় বিভাগের উদ্যোগে ৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে উপজেলা মিনি মাঠে প্রঙ্গনে জাতীয় পতাকা ও সমবায় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।উপজেলা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা শ্যামল চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উপজেলার ২৩টি সরকারী সেবা প্রদান প্রতিষ্ঠানের মধ্যে থানা, যুব উন্নয়ন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে প্রতিনিধি ছাড়া কোন কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।
সভায় বক্তব্য রাখেন থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহমুদুল হাই, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা সমন্বয়কারী প্রীতিতন চাকমা, যক্ষা বাজার সমবায় সমিতির সদস্য ও দুনীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি তপন কান্তি দে প্রমূখ।
উপজেলা চেয়ারম্যান আরো বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে সমবায় সৃষ্টির মাধ্যমে যথাযথ উন্নয়নের ধারা অবহ্যত রাখা হবে। এ ক্ষেত্রে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি সরকারী সেবা প্রদান কারী সংস্থাদের সহযোগীতায় আসার অনুরোধ জানান তিনি।
সভয় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে বাধ্যতামূলক সমবায় প্রতিষ্ঠিত হবে। ১৯৭৫ সালে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে এক ভাষনে প্রস্তাব রেখেছিলেন, ‘‘ গ্রামের প্রত্যেকটি কর্মঠ মানুষ এই বহুমূখী সমবায়ের সদস্য হবে। এই গ্রামীন সমবায়কে তিনি গ্রাম সরকার হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।
বক্তারা আরো বলেন, ১৯৭২ সালের জুন মাসে এক ভাষনে বঙ্গবন্ধু তাঁর স্বপ্নের কথা বলেছিলেন ‘‘ আমার দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্য পাবে,আশ্রয় পাবে, উন্নত জীবনের অধিকার হবে, এই হচ্ছে আমার স্বপ্ন।” এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের কেন্দ্রে তিনি দেখেছিলেন গ্রামকে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে জাতির পিতার এই স্বপ্নের কথা মনে রেখে গ্রামের প্রতি মনোযোগ দিই, তাহলে একদিন সত্যি সত্যি সোনার বাংলা বাস্তবে পরিণত হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.