সরকারের এসডিজি-৪ এর অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, এনডিসি।
শুক্রবার প্রো বেটার লিভিং (পিবিএল) বাংলাদেশ প্রা: লি: এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান কিউবিদ্যা বাংলাদেশ-এর আনুষ্ঠানিক শুভযাত্রা উপলক্ষে আয়োজিত ওয়েবিনারে প্রধান অথিতির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
স্লোগানকে সামনে রেখে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণের সক্ষমতা বৃদ্ধিপূর্বক শিক্ষাকে সহজতর এবং কার্যকর করে তোলার উদ্দেশ্য নিয়ে অনলাইন শিক্ষার প্ল্যাটফম ‘কিউবিদ্যা বাংলাদেশ’এর আত্মপ্রকাশ করেছে।
প্রধান অতিথির ব্ক্তৃতায় নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা আরো বলেন, করোনাকালীন পরিবেশে অনলাইন শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রে কিউবিদ্যার এই উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী। উন্নয়নের সকল সূচকের দিক থেকে পিছিয়ে পড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের গুণগত শিক্ষা প্রসারে কিউবিদ্যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা করেন।
তিনি বলেন, পিবিএল কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন ইতিবাচক কার্যক্রমের প্রতি অভিভাবকদের যে অকৃত্রিম আস্থা ও প্রশংসা আছে, সেটা তিনি ইতোপূর্বে প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি কিউবিদ্যার শিক্ষা উদ্যোগ বাস্তবায়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে করা সম্ভাব্য সব ধরণের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনাধীন চারটি আবাসিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানোর লক্ষ্যে পরীক্ষামূলকভাবে কিউবিদ্যার সাথে কাজ করা যেতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
অশোক কুমার চাকমা ও ঝুমালিয়া চাকমার যৌথ সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ নিরূপা দেওয়ান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক জোবাইদা নাসরিন, বি এম ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান এবং জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা।
প্যানেল বক্তারা সবাই অনলাইন শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলের সব শিক্ষার্থী যাতে কিউবিদ্যার মত অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে মানসম্মত শিক্ষা পায় সে ব্যাপারে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে তাঁরা প্রধান অতিথিসহ সরকারের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বক্তারা বলেন, অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে কিছু সমস্যা রয়েছে। যেমন, প্রত্যন্ত এলাকায় অনেক জায়গায় মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ও বিদ্যূৎ সংযোগ নেই। সরকারীভাবে টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাশ চালু করা হলেও প্রত্যন্ত এলাকায় অধিকাংশ গ্রামে টেলিভিশন নেই। টেলিভিশন চালানোর জন্য বিদ্যূৎ নেই।
দারিদ্র্যের কারণে অধিকাংশ অভিভাবকের অনলাইন শিক্ষার সুযোগ গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনার সামর্থ্য নেই। এমতাবস্থায় সরকারের নীতি সমর্থন, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়নসহ উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতে রাষ্ট্রের বিনিয়োগ করা দরকার বলে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.