করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত দুর্যোগের কারণে সারা বিশ্ব থমকে গেছে।অার দেশের মধ্যে চলছে অঘোষিত লকডাউন।কিন্তু গরিবের পেট কি লকডাউন মানে? তাই জীবন ঝুঁকি নিয়ে রাঙামাটির বরকল উপজেলায় মঙ্গলবার সকালে ভাতার আশায় পাহাড় ডিঙ্গিয়ে বরকল শাখা সোনালী ব্যাংকে চলে অাসেন এক শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবক। প্রতিবন্ধী যুবকটির নাম শান্তি লাল চাকমা(৩৭)।
জানা গেছে, বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডের উটছড়ি গ্রামের বাসিন্দা শান্তি লাল চাকমা। তার বাবর নাম আানন্দ মোহন চাকমা। পাঁচ ভাই বোনের মধ্য শান্তি লাল চাকমা সবার বড়। তার বাবাও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তাদের জীবন সংসার চলে খুব কষ্টের মধ্য। দেখার মতো কেউ নেই। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দয়ায় তিনি প্রতিবন্ধী তালিকাভুক্ত হয়েছেন। আর ভাতা পান মাসে ৭শ ৫০ টাকা করে। বছরে ভাতা পেয়ে থাকেন ৯হাজার টাকা।
আরো জানা গেছে, এর আগে তার ভাতাগুলো ওয়ার্ড মেম্বারদের মাধ্যমে তুলে নিতো। তবে নতুন নিয়ম হওয়াতে নিজের টাকা নিজে তুলতে হচ্ছে। এবারে তার বছরের ভাতা তুলতে এসে দুর্ভোগে পরতে হয় তাকে। না পারছেন তিনি বসে থাকতে না পারছেন দাড়াতে আর না পারছেন কষ্ট সহ্য করতে। বলতে গেলে তার কঠিন অবস্থা দাড়িয়েছে। কারণ তিনি তো প্রতিবন্ধী।
সুবলং ইউনিয়ন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মধু মিলন চাকমা জানান,যার ভাতা তিনি তুলে নেবেন এতে তাদের কিছু করার নেই। তবে প্রতিবন্ধী যুবকটি কত বছর ধরে ভাতা তুলে আসছেন এবং তার কোন নমিনী আসে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, ৩ থেকে ৪বছর ধরে ভাতা নিচ্ছেন। তবে নমিনী কে তা জানি না।
প্রতিবন্ধীরা আগে কি নিজের ভাতা নিজে তুলতো না কি অন্য কেউ তুলে দিতো এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো জানান, আগে প্রতিবন্ধীদের ভাতা ওয়ার্ড মেম্বারদের মাধ্যমে উত্তোলন করা হতো।গত ৬ থেকে ৭মাস আগে ৮নং ওয়ার্ডে ভাতা নিয়ে সমস্যা হওয়ায় হয়তো অফিসে কেউ অভিযোগ করাই সে থেকে নিজের ভাতা নিজে তুলতে হচ্ছে বলে তিনি ধারণা করেন বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানান।
উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ বজলুল করিম(মানিক) জানান, প্রকৃতভাবে গ্রাহকরা যাতে নিজের প্রাপ্য টাকা নিজে পায় তাই এ ব্যবস্থা। তবে গ্রাহক কোন কারণে আসতে না পারলে বা অসুস্থ হলে তার পক্ষে কেউ যদি লিখিতভাবে আবেদন করেন তবে অবশ্যই টাকাটা তুলে নিতে পারবে বলে জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.