সারা দেশের ন্যায় মানুষকে ঘরে রাখার জন্য খাগড়াছড়িতে ও প্রশাসনের প্রচেষ্টার কমতি নেই। কিন্তু তবুও মানছেন না অনেকে। অনেকে বিভিন্ন অজুহাতে এসেছেন বাজারে। কেউ বলছেন ঘরে বাজার নেই অনেকের নেই চাল। তবুও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। শহরের প্রাণ কেন্দ্র শাপলা চত্তরে পুলিশ মাইকিং করে বাজারে আসা লোকদের ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।
সোমবার খাগড়াছড়ির বাজার হাট বার হওয়ার কারনে অনেকে বাজারে এসছেন বাজার করতে। যারা প্রশসানের কথা উপেক্ষা করে বাজার করতে এসছেন ও যারা দোকান খুলেছেন তাদের অনেককে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জরিমানা করেছেন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেছেন জনগণকে ঘরে রাখার জন্য প্রশাসন সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন।
জেলার রামগড় উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের অংশ হিসেবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। সোমবার সকালে এ মোবাইল কোট পরিচালনা করেন রামগড় উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজিব কান্তি রুদ্র। এসময় সিন্ধুকছড়ি সাব জোন কমান্ডার মেজর জুনায়েদ বিন কবির উপস্থিত ছিলেন। দোকান খোলা রাখার অপরাধে রামগড় বাজারের ৯টি দোকানিকে ৫ হাজার ৬ শত টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখা, মাক্স ব্যাবহার, সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ এলাকায় সচেনতামুলক মাইকিং করা হয় ।
এদিকে খাগড়াছড়ি আপার পেরাছড়া গ্রামের যদাবল বৌদ্ধ ঐক্য যুব পরিষদের সদস্যরা নিজ উদ্যোগে গ্রামে প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে জীবানু নাশক স্প্রে করেছেন।
যদাবল বৌদ্ধ যুব ঐক্য পরিষদের সদস্য অন্তর চাকমা জানান এলকাকে করোনা মুক্ত রাখা ও এলাকার লোকদের সচেতন করার জন্য এ উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.