রাজউকের জালিয়াতী দূর্নীতির মামলায় গ্রেফতারকৃত রাঙামাটির গণর্পূত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুকমল চাকমাকে বুধবার রাঙামাটির বিচারিক আদালতে হাজির করা হয়েছে। এতে আদালত তাকে জামিন না দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সাথে আগামী ৬ নভেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য্য করেছেন আদালত।
আদালতের পরিদর্শক মোঃ আব্দুল আজিজ জানান, রাজউকের দূর্নীতি মামলায় গ্রেফতারকৃত রাঙামাটির গণর্পূত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুকমল চাকমাকে বুধবার রাঙামাটি অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সাবরিনা আলী’র আদালতে হাজির করা হয়। এতে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়ে আগামী ৬ নভেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য্য করেন।
দুদকের রাঙামাটির সহকারী পরিদর্শক জানান,মঙ্গলবার ঢাকায় এ মামলার ১নম্বর আসামী মিজানুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। সেহেতু ২ নম্বর আসামী রাঙামাটির গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুকোমল চাকমাকে গ্রেফতার করতে কোন অনুমতি প্রয়োজন আসে বলে মনে করি না।
তিনি আরো জানান, সুকমল চাকমা ও মিজানুর রহমান রাউজের চাকুরিত অবস্থায় ২০১৪ সালে রাজউকের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সই জালিয়াতী করে ৬ তলা বিল্ডিং থেকে ১৯ বিল্ডিং করার অনুমোদন দেন। এ ব্যাপারে দুদকের পক্ষ দীর্ঘ দিন তদন্তের পর দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ার পর মঙ্গলবার ঢাকার বনানী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় এক নম্বর আসামী হচ্ছেন মিজানুর রহমান ও দ্বিতীয় আসামী হচ্ছেন রাঙামাটির গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুকমল চাকমা।
আসামী পক্ষের আইনজীবি প্রতিম রায় পাম্পু দাবী করেছেন,রাঙামাটির গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুকমল চাকমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আটক করা হয়েছে। কারণ গত মঙ্গলবার ঢাকায় বনানী থানায় মামলা দায়ের পর ওই দিনই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আত্নপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, গেল মঙ্গলবার রাতে রাঙামাটি দুর্নীতি দমন কমিশনের(দুদক) উপ-পরিচালক শফিকুর রহমান ভূইয়ার নেতৃত্বে দুদকের সহকারী-পরিদর্শক মিজান উদ্দিনসহ পুলিশের একটি দল শহরের তবলছড়ি এলাকার টেক্সটাইল মার্কেট থেকে রাঙামাটির গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুকমল চাকমাকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে ঢাকার বনানী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-১৭ তারিখ-১৮-১০-১৬(মামলা নং-১৭ তারিখ-১৮-১০-১৬)।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.