টানা বর্ষনে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের কারিগড় পাড়ার রাঙামাটি-বান্দরবান সড়কে পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে দুজন পথচারী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৪জন। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলেন অতুল বড়ুয়া (৫০) ও সুইলাউ মারমা(৪৫)। বর্তমানে রাঙামাটি-রাজস্থলী-বান্দরবান সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের কারিগর পাড়ার রাঙামাটি-বান্দরবান সড়কে হঠাৎ করে পাহাড় ধসে সড়কে পড়লে চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়া এলাকার মৃত দুলাল বড়ুয়ার পুত্র অতুল বড়–য়া ও কারিগর পাড়ার স্থানীয় তংহ্লাচাই মারমার পুত্র সুইলাউ মারমা নামের দুুই পথচারী মারা যান। এসময় ঘটনায় সড়কে চলমান অবস্থায় একটি অটোক্সিা চালকসহ ৪জন যাত্রী আহত হন। আহতদের নাম জানা যায়নি। এসময় নিহত অতল বড়–য়া সুইলাউ মারমাকে নিয়ে নিজের আম বাগান দেখার পর বাঙ্গালহালিয়া ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্য গাড়ী অপেক্ষা করছিলেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঢংছড়ি বিজিবি ক্যাম্প থেকে একটি দল, কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগীতায় উদ্ধার করা হয় তাদের মরদেহ। এছাড়া রাইখালীর কারিগড় পাড়া, সন্দিপ পাড়া ও বড়খোলা পাড়ায় পাহাড় ধসের ফলে বন্ধ রয়েছে চন্দ্রঘোনা-রাজস্থালী-বান্দরবান সড়ক যোগাযোগ।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল, চন্দ্রঘোনা থানার অফিসার ইনচার্জ আশ্রাফ উদ্দিন, রাইখালী আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ তালুকদারসহ আরও অনেকে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল বলেন, পাহাড় ধসে দুজন নিহত হয়েছেন। টানা বর্ষনের কারণে পাহাড় ধসে পড়ায় সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, গেল ৮ জুলাই কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনার কলাবাগান এলাকায় পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে এক শিশুসহ দুজন নিহত ও অপর ২জন আহত হন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.