আদালতে দন্ডের কারণে বিএনপি মনোনিত আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া, দলীয় মনোনয়ন না থাকায় আওয়ামীলীগের ২ বিদ্রোহী প্রার্থী ও দাখিলকৃত ভোটার তালিকায় অসংগতির কারণে ইউপিডিএফ সমর্থিত ২ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। আজ রবিবার বেলা পোনে একটার দিকে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: শহিদুল ইসলাম মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে এই ঘোষনা দেন।
মনোনয়ন বাতিল হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, জেলা বিএনপি‘র সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ ভুইয়া, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সমীর দত্ত চাকমা, ইউপিডিএফ এর কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব চাকমা ও নতুন কুমার চাকমা।
ফলে নির্বাচন দৌড়ে টিকে রইলেন ৬জন। তারা হলেন- আওয়ামীলীগ মনোনিত কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বিএনপি মনোনিত অপর দুই প্রার্থী সমীরণ দেওয়ান ও শহীদুল ইসলাম ভুইয়া, জাতীয় পার্টির সোলায়মান আলম শেঠ, গণফোরামের আমজাদ হোসেন চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলনের আব্দুল জব্বার গাজী।
বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্র জমাদানকারীদের মধ্যে জেলা বিএনপি’র সভাপতি ১৯৯৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারীর বির্তকিত নির্বাচন এবং ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিএনপি-জামাত শাসনামলে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান ছিলেন। আর জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোয়া লক্ষ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি প্রতিমন্ত্রী পদ-মর্যাদায় পার্বত্য চট্টগ্রাম শরণার্থী টাস্কফোর্স-এর চেয়ারম্যান ছিলেন নয় বছর। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিশেবে বাতিল হওয়া অন্য দুটি মনোনয়ন পত্রের মধ্যে সচিব চাকমা এবং নতুন কুমার চাকমা, খাগড়াছড়িওত প্রভাবশালী আঞ্চলিক দল ‘ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)’-এর প্রভাবশালী নেতা। এই সংগঠনটির সমর্থিত প্রার্থী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭৭ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। ফলে এই নির্বাচনেও আওয়ামীলীগ-বিএনপি’র বাইরে এই দলের প্রার্থী শক্ত প্রতিদ্বন্ধী ছিল বলে ধারণা করা হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.