রাঙামাটির কাপ্তাই এবং রাংগুনিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট এলাকার কর্নফুলি নদীতে ব্রিজ নির্মানের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সেতু বিভাগের ৩ সদস্যের একটি টিম বৃহস্পতিবার চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
সেতু বিভাগের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন এর নেতৃত্বে এই টিমের অন্য সদস্যরা হলেন সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামান ও প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ। এসময় কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন এবং কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন উপস্হিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে সেতু বিভাগের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন জানান, সরকারের নির্দেশ মোতাবেক আমরা কর্নফুলি নদীতে বিভিন্ন সাইড পরিদর্শন করেছি। তবে জনগুরুত্বপূর্ন স্হান হিসাবে চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট এলাকাটি অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম এলাকা হিসাবে আমাদের কাছে মনে হয়েছে। তাই এই এলাকায় একটি সেতু নির্মাণ করার বিষয়ে সরকারের সেতু বিভাগের কাছে আমরা প্রতিবেদন দাখিল করবো।
পরিদর্শন টিমের সাথে থাকা কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন জানান, এই অঞ্চলের জনগনের দীর্ঘ দিনের প্রানের দাবি, চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট- রাইখালী এলাকায় কর্নফুলি নদীতে সেতু নির্মান হলে জনগনের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে, আমরা সরকারের আশু সিদ্বান্ত কামনা করছি।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন জানান, ৩ পার্বত্যঞ্চলের যোগাযোগ এর ক্ষেত্রে চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট এলাকাটি একটি অতীব গুরুত্বপূর্ন স্হান। তাই এই এলাকায় সেতু হলে পার্বত্য চট্রগ্রাম এবং চট্রগ্রামের লোকজন উপকৃত হবে। এর আগে পরিদর্শন টিম কাপ্তাই এর চিৎমরম এলাকায় কর্নফুলি নদীতে সেতু নির্মানের সম্ভাব্যবতা যাচাইয়ে চিৎমরম বাজার ঘাট, বৌদ্ধ বিহার ঘাট এবং ব্যঙছড়ি এলাকা পরিদর্শন করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.