• Hillbd newsletter page
  • Hillbd rss page
  • Hillbd twitter page
  • Hillbd facebook page
সর্বশেষ
জেলা পর্যায়ে আঞ্চলিক পরিষদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে সমন্বয় সভা                    দরপত্র বিজ্ঞপ্তি                    রাঙামাটিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত                    বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রইফের সমাধিতে বিজিবির মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পন                    রাঙামাটিতে টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ                    পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহবান                    আগামী ক্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে জেএসএস অংশ নিচ্ছে                    রাঙামাটিতে মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ও ডিপ্লোমা ফার্মামিষ্টদের কর্মবিরতি পালন                    ৯৯নং রাঙামাটি আসনের বিএনপির প্রার্থী দীপেন দেওয়ানের মতবিনিময় সভা                    নবাগত জেলা প্রশাসক নাজমা আশরাফীর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়                    শিক্ষক নিয়োগে কোটা বৈষম্যের প্রতিবাদে রাঙামাটিতে বৃহস্পতিবার থেকে ৩৬ ঘন্টার হরতাল                    তরুণ কবি ম্যাকলিন চাকমার একগুচ্ছ কবিতা                    সাজেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক ফের চালুতে স্বস্তি                    চ্যাম্পিয়ন বিলাইছড়ি রাইংখ্যং একাদশ                    ফেন্সি স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টস’র রাঙামাটিতে গ্র্যান্ড ওপেনিং                    বিলাইছড়িতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর উদযাপিত                    খাগড়াছড়ির অনন্য এক প্রাথমিক শিক্ষক রুপা মল্লিক,যাঁর পথচলার বাঁকে বাঁকে শ্রম আর সাফল্য                    পরবর্তী বাংলাদেশের এনসিপি নেতৃত্বে দেবে-হাসনাত আবদুল্লাহ                    রাঙামাটিতে তিন দিনের সাবাংগী মেলার উদ্বোধন                    চট্টগ্রাম আঞ্চলিক তথ্য অফিসের গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা                    বিলাইছড়িতে যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন                    
 
ads

রাঙামাটিতে পাহাড় ধস
৬টি আশ্রয় কেন্দ্র বন্ধ: অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়ছে আশ্রিত ক্ষতিগ্রস্তরা

স্টাফ রিপোর্টার : হিলবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 07 Sep 2017   Thursday

পাহাড় ধসের ঘটনায় রাঙামাটিতে খোলা ৬টি আশ্রয় কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার শহরের ৬টি আশ্রয় কেন্দ্র গুটিয়ে ফেলেছে জেলা প্রশাসন। 

 

এদিকে, আশ্রয় কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন, আশ্রয় কেন্দ্র থেকে কোথায় যাবে কী করবে- এমন অনিশ্চয়তার মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়তে বাধ্য হতে হচ্ছে।

 

জানা যায়, সরকারি বরাদ্দ শেষ হওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো বন্ধ করতে বাধ্য হতে হয়েছে। এত মানুষকে রেখে আশ্রয় কেন্দ্র চালানোর মতো কোনা অবস্থা আর নেই। এ জন্য বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই অবস্থান করা লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়তে বলে দেয়া হয়েছে। গেল ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ছাড়তে বলা হলেও পরে বাস্তব পরিস্থিতির কারণে আরও তিন দিন সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গেল ৫ সেপ্টেম্বর ত্রাণ সহায়তা দিয়ে ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে যেতে বলে দেয়া হয়।

 

ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের পূনর্বাসনের লক্ষে সম্পূর্ন ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ৬ হাজার টাকা, ২ বান্ডেল ঢেউটিন ও ৩০ কেজি চাল এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ১ হাজার টাকা ও ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এসব ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয় রাঙামাটি পৌরসভার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪০ পরিবার এবং আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করা ২৬৩ পরিবারকে।

 

এদিকে বৃহস্পতিবার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে দেখা গেছে রাঙামাটি স্টেডিয়াম কেন্দ্রে থাকা ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে সবাই চলে গেছেন। তবে জিমনেসিয়াম ও মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাস কেন্দ্র থেকে কিছু কিছু লোকজ চলে গেছেন। আবার অনেকে তল্পিতল্পা গুছিয়ে প্রস্তুত রয়েছেন কেন্দ্র ছাড়তে।ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ত্রাণ সহায়তার তালিকা থেকে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত অনেকে বাদ পড়ার অভিযোগ উঠেছে। সেখানে অনেকেই জানান, শুক্রবারের মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে যাবেন।

 

আশ্রয় কেন্দ্রের রূপনগরের আবদুল হালিম (৩৫), সুমি বেগম (২৮), সাদিয়া (৩০),)ভেদভেদী পশ্চিম মুসলিম পাড়ার মো. জাহিদ (২৭), ছিদ্দিকুর রহমান (৩৯) জীবনবসু চাকমা, মোমিতা চাকমাসহ অনেকে জানান, বিদায় প্রাক্কালে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে নগদ অর্থসসহ কিছু ত্রাণ সহায়তা দেয়া হলেও অনেকে কিছুই পাননি। আর যারা পেয়েছেন সেগুলো দিয়ে কোথায় গিয়ে কী করবেন- তা কিছুই বুঝতে পারছেন না। যাওয়ার কোথাও নেই, নেই পুনর্বাসন তবু আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়তে হচ্ছে। কিছুই তো করার নেই।


জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) আবু শাহেদ চৌধুরী জানান,আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিতদের পূর্নবাসনের জন্য নগদ অর্থসহ ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকে আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে চলে গেছেন। বৃহস্পতিবার পর্ষন্ত যারা আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন তাদের জন্য রাতের খাবার দেয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালের দিকে তারা আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়বে আশা করছি।


উল্লেখ্য, গেল ১৩ জুন ভারী বর্ষনে পাহাড় ধসে রাঙামাটি সদর,জুরাছড়ি,কাপ্তাই,কাউখালী ও বিলাইছড়ি এলাকায় দুই সেনা কর্মকর্তা ও তিন সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের মৃত্যূ হয়। ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য রাঙামাটি শহরে প্রথমে ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়। পরবর্তীতে আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজন কমে যাওয়ায় ৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে সর্বশেষ থাকা নারী-পুরুষ ও শিশুস সংখ্যা ছিল ৩০১ পরিবার।

 

এসব পরিবারকে পূর্নবাসনের লক্ষে গত বৃহস্পতিবার সম্পূর্ন ক্ষতিগ্রস্থ ৭৩ পরিবারকে পরিবারকে ৬ হাজার টাকা,দুই বান্ডেল ঢেউ টিন ও ৩০ কেজি চাল এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ ২২৮ পরিবারকে এক হাজার টাকা ও ২০ কেজি করে চাউল ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়। ত্রাণ সহায়তা পাওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বৃহস্পতিবারের মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

ads
ads
আর্কাইভ