রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের পাঠদান কর্মসূচী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগসহ জেলা আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীসহ দেড় শতাধিক আহত হয়েছে বলে জেলা আওয়ামালীগ দাবি করেছে।
শনিবার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মুছা মাত্তবের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে শনিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের পাঠদান কর্মসূচী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় শাপলা হোটেলের সামনে পিসিসি ক্যাডারদেও দ্বারা ছাত্রলীগসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীবৃন্দ হামলার শিকার হয়। এতে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রহুল আমিন, হাজী মো: কামাল উদ্দিন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ কাজলসহ দেড় শতাধিক আহত হয়। জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক দিদারুল আলমের মোটর সাইকেল ভেঙে দিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। গুরুতরভাবে আরও আহত হন ১৬ জন। তারা হলেন, যুবলীগের সহ-সভাপতি আশীষ কুমার চাকমা নব, কামাল উদ্দিন, আব্দুল ওহাব খান, মো: মনির, আবুল খায়ের রাফি, মো: সিরাজ, মো: সলিমুল্লাহ, মিঠু, মহিন, আলী, নতুন ত্রিপুরা, আলমগীর, জাকির, সুলতান মাহমুদ বাপ্পা, আব্দুল জব্বার সুমন, মনসুর, হাবিব, বাবলা, নাছির, রফিক, বিপ্লব, খোরশেদ, ছাত্রলীগের সুমন, ইমরান,আলমগীর হোসেন, নঈম উদ্দিন, শাকিল, শহিদ, ববি, কামরুল, ইকবাল, রজ, আলী, নজরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের মনছুর আলী, ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক, শ্রমিক লীগের মন্ডল। এছাড়া মো: জহির, জাহাঙ্গীরসহ অনেক পথচারীও আহত হয়েছেন। বেশকিছু দোকানপাট এবং স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর করেছে পিসিপির ক্যাডাররা অভিযোগ বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার বিরুদ্ধে জনসংহতি সমিতি ও পিসিপি আক্রমনাত্মক অবস্থান নিয়েছেন তা প্রশাসনের পূর্ব থেকে জানা আছে। শনিবার উদ্বোধনের দিন পিসিপি জেলাব্যাপী অবরোধ ডাকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঠেকানোর জন্য সন্তু লারমার ক্যাডাররা অনেকদিন আগে থেকে সশস্ত্রভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিল তা প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল। শুক্রবার বনরূপা বাজারের দোকানগুলো থেকে প্রায় সব মার্বেল পিসিপির ক্যাডাররা কিনে নিয়ে যায় গুলতি হিসাবে ব্যবহার করার জন্য, তাও প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তারপরও পুলিশ প্রশাসন আক্রমন রোধ করার দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেয়নি। পিসিপির ক্যাডাররা যখন কিরিচ, ছুরি, লোহার রড ও গুলতি দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, তখন রাস্তায় থাকা পুলিশ নির্বিকারভাবে দাঁড়িয়ে ছিল। মেডিকেল কলেজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে না দেয়ার জন্য পিসিপি ও জেএসএস অনেক দিন আগে থেকে সরাসরি হুমকি দিচ্ছে। তারপরও আজকের পরিকল্পিত ও নিশ্চিত আক্রমন প্রতিহত করার কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক, রহস্যজনকও বটে।
বিবৃতিতে এ ন্যাক্কারজনক, কাপুরুষোচিত, বর্বর এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে আক্রমনের সাথে জড়িদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ এবং পুলিশ প্রশাসনের অবহেলার জন্য তদন্তপূর্বক দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে পাহাড়ি-বাঙালি সবাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রেখে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের হামলা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করে রাঙামাটিবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.