রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় বন্যায় ও ভুমি ধসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে গৃহ নির্মাণের লক্ষ্যে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আশিকা ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েটস ও কারিতাস বাংলাদেশ এগিয়ে এসেছে। মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্ত ছয় শত পরিবারকে মাঝে নগদ অর্থ ও কিট বক্স বিতরণ করা হয়েছে।
গেল আগষ্টে প্রথম সপ্তাহে ভয়াবহ বন্যায় বিলাইছড়ি উপজেলা সদর ও ফারুয়া ইউনিয়নে ১৬ টি গ্রাম প্লাবিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে বন্যায় ও ভুমি ধসে ১১৭৪ টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সম্পুর্ন ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৫৪টি ঘর। এ ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৬শত পরিবার।
বিলাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে রাঙামাটি পৌরসভা ও বিলাইছড়ি উপজেলায় আকস্মিক বন্যা ও ভুমি ধসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসমুহের জন্য জরুরী মানবিক সহায়তা প্রকল্পের আর্থিক সহায়তা দেয় ইউকেএইড, নেদারল্যান্ড সরকার ও জেওএ এর আর্থিক সহায়তায় ও স্টার্ট ফান্ডের কারিগরী সহায়তায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা। আশিকা ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েটস এর নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমার সভাপতিতে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন, বিলাইছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি তঞ্চঙ্গা, বিলাইছড়ি থানার উপ-পরিদর্শক ধনঞ্জয় ত্রিপুরা। স্বাগত বক্তব্য দেন আশিকার প্রোগ্রাম ম্যানেজার বিপ্লব চাকমা।
অনুষ্ঠানে বিলাইছড়ি উপজেলা সদেরর ২০০ ও ফারুয়া ইউনিয়নের ৪০০ পরিবারকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা করে নগদ ৩৩ লক্ষ টাকা, ওয়াশ কিট ও শেল্টার কিট বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, বন্যায় ও ভূমি ধসে বিলাইছড়ি সদর ইউনিয়ন ও ফারুয়া ইউনিয়নের লোকজন সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের কষ্ট কিছুটা দুর করতে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আশিকা ও কারিতাস এগিয়ে এসেছে। তবে যারা বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করে এ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এখানে কারোর ভূল বুঝাবুঝি বা সন্দেহ চোখে দেখা কোন অবকাশ নেই। প্রকৃতভাবে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তিনি সহায়তা দেওয়া এ অর্থ ও কিট বক্স সঠিক কাজে লাগিয়ে আবারো ঘুরে আহ্বান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.