রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইছড়ি ও সারোয়াতলী ইউনিয়নের ১৯ কিলোমিটার সীমান্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণে ফলে ক্ষতিগ্রস্থ ১৮৮টি জুম্ম (পাহাড়ী) পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরনের দাবিতে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেছে ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন।
বাঘাইছড়ির উগলছড়ি আর্য্যপুর বটতলা এলাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাঘাইছড়ি ইউপির মহিলা মেম্বার রাশিকা চাকমা। এ সময় বাঘাইছড়ি ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান প্রিয় বিকাশ চাকমা, সারোয়াতলী ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান সুগত চাকমা, মহিলা মেম্বার সুমায়া চাকমা, সাবেক মেম্বার নিরুপম চাকমা।
লিখিত বক্তব্যে বাঘাইছড়ি ইউপির মহিলা মেম্বার রাশিকা চাকমা বলেন, উপজেলার বাঘাইছড়ি ও সারোয়াতলী ইউনিয়নে সীমানা সংযোগ সড়ক নির্মাণের ফলে স্থানীয় ১৮৮টি জুম্ম পরিবারগুলোর ঘর-বাড়ি, বাগান-বাগিচা, দোকানপাট ধ্বংস হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্বাস্মরকলিপি পাঠানোসহ বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করার পরও কোন ধরনের ক্ষতিপুরণ না পাওয়া যায়নি। তাই অবিলম্বে ক্ষতিগ্রসতদের উপযুক্ত ক্ষতিপুরন দেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। সংবাদ সন্মেলনে অবিলম্বে সড়ক নির্মানৈর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসমূহকের উপর উপযুক্ত ক্ষতিপূরনের ব্যবস্থা, অবিলম্বে ভূমি কমিশনের মাধ্যমে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রন, ও অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের দাবী জানানো হয়।
সংবাদ সন্মেলনে বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য নিরুপম চাকমা বলেন,`পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে এসব এলাকায় বসতিস্থাপন করে যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছেন। লোকজন এ এলাকায় বিভিন্ন ফলজ ও বনজ বাগান গড়ে তোলে জীবিকানির্বাহ করছেন। সীমানা সংযোগ সড়ক নির্মাণের ফলে দুই ইউনিয়নের মধ্যকার ১৯ কিলোমিটার সড়ক পাশ্ববর্তী ১৮৮টি জুম্ম পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাদেরকে সরকারের কাছ থেকে এখনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় গ্রামবাসীরা ক্ষতিপূরণের দাবিতে কয়েকবার বিক্ষোভ সমাবেশ করলেও এখনো দৃশ্যমান উদ্যোগ চোখের পড়েনি। তিনি বলেন, বাঘাইছড়ি ও সারোয়াতলী ইউনিয়নে ৩০ ফুট প্রশস্ত এই সীমান্ত সড়কের দৈর্ঘ্য উগলছড়ি আর্য্যপুর থেকে কজইছড়িমুখ পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার। অন্যদিকে কজইছড়িমুখ থেকে মাঝিপাড়া পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার সীমান্ত সড়কের কাজ চলছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.