সোমবার পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডেরে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের পরিচালনা বোর্ডের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের রাঙামাটিস্থ প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড কক্ষে অনুষ্ঠিত সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।
সভায় বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী (অতিরিক্ত সচিব), সদস্য প্রশাসন ইফতেখার আহমেদ (যুগ্মসচিব), খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, বোর্ডের সদস্য পরিকল্পনা মোঃ জসীম উদ্দিন (উপসচিব), পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি আশীষ কুমার সাহা এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বান্দরবান পার্বত্য জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ আবদুল আজিজ, মিশ্র ফল চাষ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি ইউনিট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মুজিবুল আলম, বোর্ডের উপপরিচালক মংছেনলাইন রাখাইন, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত, সিএমইউ জেনারেল ম্যানেজার জনাব পিন্টু চাকমা, রাঙামাটি নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, গবেষণা কর্মকর্তা কাইংওয়াই ম্রো, মোঃ নুরুজ্জামান, বাজেট ও অডিট অফিসার, তথ্য কর্মকর্তা ডজী ত্রিপুরা, সহকারী পরিচালক (চ:দা) জনাব সাগর পালসহ বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যের শুরুতে পার্বত্য চট্টগাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী (অতিরিক্ত সচিব), তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকগণ, বোর্ডের সদস্যবৃন্দ, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রতিনিধি, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রতিনিধি, বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীগণ, বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকগণসহ বোর্ডের অন্যান্য উধ্বর্তন কর্মকর্তাসহ উপস্থিত সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। সভাপতির অনুমতিক্রমে সদস্য প্রশাসন ইফতেখার আহমেদ (যুগ্মসচিব) বিগত পরিচালনা বোর্ড বিগত সভার কার্যবিবরণী পাঠ ও গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিস্তারিত উপস্থাপন করেন।
সভার গেল ৩০ মে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভার কার্যবিবরণী পাঠ ও অনুমোদন এবং গৃহীত সিদ্ধান্তের অগ্রগতি পর্যালোচনা, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহের ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত সময়ের অগ্রগতি পর্যালোচনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সভায় আলোচনা করা হয়।
এছাড়া সভায় বোর্ডের আওতাধীন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকগণ, বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীগণ কোড নং ২২০০১১০০, ২২০০০৯০০ এর আওতাধীন প্রকল্প/স্কিম এবং বোর্ডের আওতাধীন পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকগণ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সাল পর্যন্ত সময়ে সামগ্রীক বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়। তিন পার্বত্য জেলার হেডম্যান কার্যালয় নির্মাণের অগ্রগতি, পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি, তিন পার্বত্য জেলায় সোলার হোম সিস্টেম বিতরণ বাস্তবায়ন অগ্রগতি, তুলা চাষ, ইক্ষু চাষ এবং কফি ও কাজুবাদাম চাষ প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয় সভায়।
সভায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ^াস পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উন্নয়ন কার্যক্রম সরাসরি জনসম্পৃক্ততা ও উন্নয়নমূলক কাজের দৃশ্যমান হওয়ায় ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অপার সম্ভাবনাময় অঞ্চল হওয়ার সত্বেও আমরা বিগত পঞ্চাশ বছরে পাহাড়কে নিয়ে ইতিবাচকভাবে চিন্তা করতে পারিনি, বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে ভাবতে হবে এবং গুরুত্ব দিতে হবে। এছাড়া বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলা প্রশাসক বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পসমূহ পার্বত্য এলাকার জনমানুষের চাহিদার প্রেক্ষিতে গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং কাজের গুণগতমান সস্তোষজনক হওয়ায় বোর্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড তিন পার্বত্য জেলার যাতায়াত, শিক্ষা, কৃষি, অবকাঠামো, সমাজকল্যাণ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নকে ধারাবাহিকভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা প্রশাসন ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সার্বিক সহযোগিতায় কাপ্তাই হ্রদে পর্যটকদের সুবিধার্থে একটি রিফ্রেসার সেন্টার কম ভিউপয়েন্ট নির্মাণে করা হবে।
তিনি রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার ৫জন নারী ফুটবলার সাফ উইমেনস চ্যাম্পিয়নশীপ এ গৌরবের সাথে কৃতিত¦ রাখার জন্য অভিনন্দন জানান এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.