পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার(এমএন লারমা) ৩৮ তম মৃত্যু বার্ষিকী বুধবার রাঙামাটিতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির জেলা শাখার উদ্যোগে সংগঠনের কার্যালয়ে অস্থায়ী শহীদ বিধিতে ফূল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন। এসময় শোক প্রস্তাব ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শোক সভায় বক্তব্যে দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা সৌখিন চাকমা, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুমন মারমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন নেত্রী আশিকা চাকমা। বিকালে শহরের দেবাশীষ নগর এলাকায় এমএন লারমা মোমোরিয়েল ফাউন্ডেশন ও এমএন লারমা গণস্মৃতি পাঠাগারের উদোগে শোক সভার আয়োজন করা হয়।
এদিকে সন্ধ্যার দিকে কল্যাণপুরস্থ পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা(সন্তু লারমা) তার বাস ভবনে মোমবাতি প্রজ্জালন করেন।
উল্লেখ্য, এমএন লারমা ১৯৩৯ সালে ১৫ সেপ্টেম্বর রাঙামাটির মহাপুরম নামক স্থানে জন্ম গ্রহণ করেন। । ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে বিপুল ভোটে জয়ী হন। পাহাড়ী জনগনের আতœনিয়ন্ত্রাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথম থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন পরিচালনা করে আসছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তৎকালীন সময়ে সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে সরে গিয়ে আত্নগোপণ করেন এমএন লারমা এবং তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসী জনগণের আত্ননিয়ন্ত্রাধিকার আদায়ের লক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সামরিক উইনিং ‘শান্তি বাহিনী, নামে সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করেন। ১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর ভিদেপন্থীদের হাতে তার ৮ সহযোগীসহ নির্মমভাবে নিহত হন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.